BLOs Of West Bengal

৪ মৃত্যু, অনেকে অসুস্থ, তবুও ১০০% কাজ শেষ! ৩৭ দিনের বিএলও-জীবনের রোজনামচা পড়ে দেখল আনন্দবাজার ডট কম

পশ্চিমবঙ্গের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে ৮০,৬৮১ জন বিএলও-কে। সংখ্যার নিরিখে ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে দ্বিতীয় এই রাজ্য। পরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আরও ১৫ হাজার সহকারী বিএলও-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:৩২
BLOs Of West Bengal

বাংলায় এসআইআরের নানা চিত্র। ছবি: পিটিআই এবং নিজস্ব।

কেউ ‘আতঙ্কিত’, কেউ ‘অসুস্থ’, কেউ ‘আক্রান্ত।’ গত ৩৭ দিনে এই তিনটি শব্দ তাঁদের নামের আগে বা পরে বসেছে। তাঁরা অর্থাৎ, বুথভিত্তিক আধিকারিক। পরিভাষায় বিএলও। ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআরের আবহে গত ৪ নভেম্বর থেকে যাঁরা আলোচনার ভরকেন্দ্রে।

Advertisement

‘এনুমারেশন’ বা গণনা-পর্বের শুরু থেকে বিএলও-দের নানাবিধ অভিযোগ। অল্প সময়ে কী ভাবে বিরাট কর্মযজ্ঞ সুষ্ঠু ভাবে শেষ করবেন, সেই প্রশ্নটিই মূল। সে জন্য কেউ কাজ ছেড়ে দিতে চেয়ে ধর্নায় বসেছেন, কেউ ‘কাজের চাপে’ ভাতের থালা হাতে হাপুস নয়নে কেঁদেছেন। অনেকেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে গিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে এ পর্যন্ত চার জন বিএলও মারা গিয়েছেন। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের দাবি, এগুলি ‘প্রাতিষ্ঠানিক খুন’। কেন্দ্রের শাসকদলের অঙ্গুলিহেলনে নির্বাচন কমিশন দু’মাসের কাজ দু’সপ্তাহে শেষ করতে গিয়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে এই পরিণাম ডেকে এনেছে। যদিও সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলায় সেই অভিযোগ নস্যাৎ করেছে কমিশন।

দোষারোপ-পাল্টা দোষারোপের মধ্যে ১১ ডিসেম্বর গণনাপর্ব শেষ হয়েছে। হাঁফ ছেড়েছেন বিএলও-রা। আবার তাঁদের কাঁধে ‘বাড়তি দায়িত্ব’ না দিয়ে দেয় কমিশন, সেই আতঙ্কে আগেভাগে বিক্ষোভ দেখিয়ে ফেলেছেন তাঁরা। ঘটনাস্থল বীরভূম। আবার গণনাপর্বের শেষ দিনে বিএলও-কে কষিয়ে চড় মারা নিয়ে শোরগোল হুগলির চাঁপদানিতে।

বিএলও কারা এবং কেন

নব্বইয়ের দশকে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতার বিবর্তনে তৎকালীন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার তিরুনেল্লাই নারায়ণ আইয়ার শেষনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ এবং ভাবনার উপর ভিত্তি করে বুথ স্তরের আধিকারিকের পদের উৎপত্তি ঘটায় কমিশন। বস্তুত, এ রাজ্যেই প্রথম বিএলও-দের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। ঘটনাকাল ২০০৬ সালের বিধানসভা উপনির্বাচন। তার পর উত্তরপ্রদেশের ভোট এবং ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও কাজ করেন তাঁরা।

সরকারি খাতায় বিএলও হলেন স্থানীয় সরকারি কিংবা আধা-সরকারি কর্মী। যিনি স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে পরিচিত এবং সাধারণত একই নির্বাচনী এলাকার ভোটার। এলাকা সম্পর্কিত তাঁর জ্ঞান এবং প্রাপ্ত তথ্য ভোটার তালিকা তৈরি করতে সাহায্য করে। আরও সহজ কথায়, বিএলও হলেন নির্বাচন কমিশনের তৃণমূল পর্যায়ের প্রতিনিধি। তিনি তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকেন এবং তালিকার সঙ্গে সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। কমিশন বলে, বিএলও হলেন স্থানীয় জনগণের ‘ফ্রেন্ড, ফিলোজ়ফার অ্যান্ড গাইড।’ কিন্তু জনগণের সেই বন্ধু, দার্শনিক এবং পথপ্রদর্শকদেরই কাজের চাপে ভীত এবং তটস্থ দেখিয়েছে!

পশ্চিমবাংলার বিএলও-রা

গত ২৭ অক্টোবর পশ্চিমবাংলা-সহ ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটার তালিকার ‘বিশেষ নিবিড় সংশোধন’ (এসআইআর) চালুর ঘোষণা করে কমিশন। সেই কাজের জন্য পশ্চিমবঙ্গের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে ৮০,৬৮১ জন বিএলও। সংখ্যার নিরিখে ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে দ্বিতীয় স্থানে এই রাজ্য। প্রথম উত্তরপ্রদেশ (১ লক্ষ ৬২ হাজার ৪৮৬ জন)। পরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রায় ১৫ হাজার সহকারী বিএলও-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। তার পর থেকেই নানাবিধ ঘটনা। কোথাও বিএলও-র স্বামীকে শাসকদলের নেতা মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কোথাও কাজের চাপে আত্মহত্যার অভিযোগ। এমনকি, এর মধ্যে তৈরি হয়েছে ‘বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটি।’ যার সদস্যেরা সম্প্রতি কলকাতায় রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতরের সামনে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন। শুক্রবার আরও এক বার সিইও দফতরের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। কারণ? কেন পশ্চিমবঙ্গে এসআইআরে কাজের জন্য আরও সময় চাওয়া হল না!

বিএলও-দের মৃত্যু

কাজ শুরুর চার দিন পর প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। গত ৯ নভেম্বর ‘কাজের চাপে’ বুথ বিএলও-র মৃত্যু হয় পূর্ব বর্ধমানে। মৃতার নাম নমিতা হাঁসদা। পেশায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নমিতা ৮ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। পরিবারের দাবি, এসআইআরের কাজ করতে করতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পর দিন কালনা মহকুমা হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এর ১০ দিন পরে জলপাইগুড়িতে এক বিএলও মারা যান। অভিযোগ, কাজের চাপে আত্মঘাতী হন ডুয়ার্সের মাল ব্লকের নিউ গ্লেনকো চা বাগান এলাকায় বাসিন্দা শান্তিমুনি ওঁরাও। ৪৮ বছর বয়সি শান্তিও পেশায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ছিলেন। এর পরে ২১ নভেম্বর নদিয়ার কৃষ্ণনগরে আত্মঘাতী হন এক বিএলও। নাম রিঙ্কু তরফদার। ৫১ বছরের ওই বিএলও পেশায় পার্শ্বশিক্ষক ছিলেন। তাঁর দেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে পুলিশ। তার পরে মুর্শিদাবাদে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান জাকির হোসেন নামে এক বিএলও।

অসুস্থ বিএলও

গত ৩৭ দিনে ঠিক কত জন বিএলও ‘কাজের চাপে’ অসুস্থ হয়েছেন, তার সঠিক সংখ্যা সরকারি ভাবে নেই। তবে রাজ্যে হেন কোনও জেলা নেই, যেখানে কোনও বিএলও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যাননি। কেউ কেউ কাজ করতে বেরিয়ে মাথা ঘুরে পড়েছেন। কেউ বাড়িতে বসে বিএলও পোর্টালে নথি আপলোডের সময় জ্ঞান হারিয়েছেন। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ এক— ‘মাত্রাতিরিক্ত কাজের চাপ’। গত ৯ ডিসেম্বর কোচবিহারের জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, এসআইআর প্রক্রিয়া চলাকালীন ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বিএলও-ও আছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘এখনও ১৫ জন হাসপাতালে। মৃত সকলের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা করে দিচ্ছি আমরা। তিন জন আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন। জীবন-মরণ এক করে লড়ছেন। আমরা তাঁদের দেখাশোনা করছি। বিএলও-দের জন্য বাড়তি টাকা ছাড়া হয়েছে।” তার পরেই মমতার বক্তব্য, “আপনাদের (বিএলও-দের) কাজ করায় কমিশন। টাকা বাড়াবে রাজ্য সরকার। আর টাকা বন্ধ করে দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। কী সুন্দর তত্ত্ব (থিয়োরি)!” বস্তুত, বিএলওদের পারিশ্রমিক নিয়েও কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত বেধেছিল। অবশেষে গত সোমবার বিএলও-দের জন্য ৬১ কোটি টাকা ছেড়েছে নবান্ন।

আক্রান্ত বিএলও

বেশ কিছু জায়গায় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হুমকির মুখোমুখি হয়েছেন বিএলও-রা। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে এক বিএলও-র স্বামীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের এক নেতার বিরুদ্ধে। আক্রান্তের অভিযোগ, থানায় গেলে পুলিশ পরামর্শ দেয় নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নেওয়ার। সেই নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির দীর্ঘ তরজা চলে। এনুমারেশন ফর্ম সংগ্রহ করতে গিয়ে মার খেয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক বিএলও। বুকে-পাঁজরে আঘাত নিয়ে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন তিনি। সেই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। গ্রেফতার হন অভিযুক্ত। বিএলও-র দাবি, তাঁকে বিনা কারণে অপদস্থ করেন স্থানীয় যুবক।

বিএলও-র পারিশ্রমিক বিতর্ক

প্রতি বছর ভোটার তালিকা পর্যালোচনা (রিভিশন)-র কাজে এককালীন ছ’হাজার টাকা করে পেতেন বিএলওরা। এ বার সেই সাম্মানিকের পরিমাণ বাড়িয়ে ১২ হাজার টাকা করা হয়েছে। কিন্তু বিএলওদের একাংশের অভিযোগ, এসআইআর ফর্মে ভোটারদের তথ্য তাঁদের পূরণ করতে হচ্ছে। সে জন্য তাঁদের মোবাইলের ডেটা খরচ হচ্ছে। অনেকের এ-ও অভিযোগ, তাঁদের কাছে আগে স্মার্টফোনই ছিল না। এসআইআরের কাজের জন্যই কিনতে হয়েছে। সেই সব অনুযোগের ভিত্তিতে কমিশনের তরফে আরও ছ’হাজার টাকা করে পারিশ্রমিক (অর্থাৎ, মোট ১৮ হাজার) দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু এখনও অনেক বিএলও পারিশ্রমিক হাতে পাননি বলে অভিযোগ। যা নিয়ে অসন্তোষও তৈরি হয়েছে।

এনুমারেশনের শেষবেলায়

গণনাপত্র জমা দেওয়ার শেষ পর্বে দু’টি ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। একটি হুগলিতে এবং অন্যটি বীরভূমে। হুগলির চাঁপদানি বিধানসভার ১১১ নম্বর বুথের বিএলও (স্কুলশিক্ষক) অভিযোগ করেন, দিন দুয়েক আগে শ্রীরামপুর মহকুমা শাসক দফতরে বিএলও-দের নিয়ে বৈঠকে তাঁকে চড় মারেন এইআরও ( অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার) । কারণ, ওই বিএলও যে বুথের দায়িত্বে সেখানে কয়েক জন ভোটারের হদিস মেলেনি। কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, নিখোঁজ ভোটারের তালিকা সংশ্লিষ্ট বুথের বিভিন্ন জায়গায় ‘পাবলিক নোটিস’ আকারে ঝুলিয়ে দিতে হবে বিএলও-কে। ওই শিক্ষক তা করেছিলেন। তার পরেও ওই নিয়ে কথা কাটাকাটির সময় তাঁর গায়ে হাত তোলা হয় বলে তাঁর অভিযোগ। কমিশনে অভিযোগ করছেন ওই বিএলও।

এ ছাড়াও ‘অতিরিক্ত কাজের চাপ’, ‘মানসিক এবং শারীরিক ক্লান্তি’, ‘অবিরাম দায়িত্বের বোঝা’ নিয়ে ক্ষুব্ধ বিএলও-রা শুক্রবার একত্রিত হয়েছিলেন সিউড়ি-১ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসে। তাঁদের কথায়, “এই ভাবে আর কাজ করা সম্ভব নয়। এসআইআর শেষ হলে আমাদের ওপর নতুন চাপ আসবে। এখনই পদক্ষেপ না করলে কাজ করা কঠিন।” তবে এ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন মৌনীই থেকেছে।

তবে এই অভিযোগের রোজনামচার মধ্যে ব্যতিক্রমও আছে। জন্ম থেকে এক পা না থাকা শোভানারা বায়েন এক পাযে লাফিয়ে লাফিয়ে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে তাঁর জন্য নির্দিষ্ট এলাকা ঘুরে সময়ের অনেক আগে কাজ গুছিয়ে ফেলেছেন। আবার নিজের বিয়ের প্রীতিভোজে না গিয়ে ঘরবন্দি থেকে মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বিএলও মুস্তাক আহমেদ কাজ সেরেছেন। কোচবিহারের পৌলভ গঙ্গোপাধ্যায় বাবার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সেরে আবার বসে পড়েছেন কাজে। অশৌচের সঙ্গেই দায়িত্বও পালন করছেন। তাঁদের বক্তব্য, কাজ কঠিন নয়, তবে ঝক্কি হাজার। সে জন্য আরও সময় দেওয়া উচিত ছিল। ‘বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটি’-র নেতা শুভেন্দু গড়াইয়ের কথায়, ‘‘সমস্যার কারণ পরিকল্পনার অভাব। নির্বাচন কমিশনের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই। তা ছাড়া বিএলও-দের ঠিক মতো প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়নি। তাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম দেওয়া-নেওয়া, ডেটা এন্ট্রি করতে গিয়ে বার বার সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। আত্মহত্যা এবং অসুস্থতার কারণও এটাই। আগে কাজ করেছেন, এমন বিএলও-র সংখ্যা হাতে গোনা।’’

তবে পশ্চিমবঙ্গের সিইও দফতর জানিয়েছে, রাজ্যে যে ভাবে এসআইআরের কাজ এগিয়েছে, তাতে আর অতিরিক্ত সময় লাগবে না। মূল কাজও শেষ। ঘটনাচক্রে, বৃহস্পতিবারই নয়া নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন পাঁচটি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসআইআরের কাজের সময় বাড়িয়েছে। কিন্তু সেখানে পশ্চিবঙ্গ নেই। কেন নেই, সে প্রশ্ন তুলে শুক্রবারেও সিইও দফতরের সামনে হাজির হয়েছিলেন বেশ কয়েক জন বিএলও।

সময়সীমা বাড়লেও রোজনামচা অবশ্য একই থাকত!

Advertisement
আরও পড়ুন