Nepal Earthquake

৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল নেপাল, কম্পন অনুভূত শিলিগুড়িতেও, আতঙ্কিত বাসিন্দারা

বৃহস্পতিবার রাতে, ২টো ৫১ মিনিট (নেপালের স্থানীয় সময়)-এ হঠাৎই কেঁপে ওঠে হিমালয়ের কোলে থাকা নেপালের মধ্য এবং পূর্বাংশ। কম্পন অনুভূত হয় শিলিগুড়ি এবং পটনাতেও।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৮:১৩
৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল নেপাল।

৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল নেপাল। —প্রতীকী ছবি।

মধ্যরাতে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নেপাল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৬.১। বৃহস্পতিবার রাতে, ২টো ৫১ মিনিট (নেপালের স্থানীয় সময়)-এ হঠাৎই কেঁপে ওঠে হিমালয়ের কোলে থাকা এই দেশটির মধ্য এবং পূর্বাংশ। কম্পন অনুভূত হয় শিলিগুড়ি এবং পটনাতেও। দার্জিলিঙেও কম্পন টের পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়দের একাংশ।

Advertisement

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল নেপালের সিন্ধুপালচক জেলার ভৈরবকুণ্ড। মাটির অন্তত ১০ কিলোমিটার গভীরে কম্পনের উৎপত্তিস্থলটি ছিল। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলটি বিহারের মুজফ্ফরপুর থেকে প্রায় ১৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

নেপালের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষক এবং গবেষণা সংস্থা কম্পনের মাত্রা ৬.১ বলে জানালেও জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিয়োসায়েন্স জানিয়েছে, এটির মাত্রা ৫.৬। ভারতের জাতীয় ভূকম্পন পরিমাপকেন্দ্র বা ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি এবং আমেরিকার জিয়োলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, কম্পনের মাত্রা ৫.৫।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কম্পন সবচেয়ে বেশি অনুভূত হয়েছে নেপাল-তিব্বত সীমান্তে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন। এখনও পর্যন্ত এই ভূমিকম্পে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। তবে স্থানীয় প্রশাসন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাপ করছে বলে জানা গিয়েছে। নেপাল পুলিশের ডিআইজি দীনেশ কুমার আচার্য জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের উৎসস্থল সংলগ্ন এলাকা কিংবা বাকি দেশে ভূমিকম্পের কারণে কেউ হতাহত হয়েছেন বলে খবর আসেনি। তবে সিন্ধুপালচক জেলার এক প্রশাসনিক আধিকারিক জানিয়েছেন, জোরালো কম্পনে তাঁদের ঘুম ভেঙে যায়। বাসিন্দারা ভয়ে বাড়ির বাইরে চলে আসেন।

প্রসঙ্গত, নেপাল এমনতিই বিশ্বের অন্যতম ভূকম্পপ্রবণ দেশ। অবস্থানগত দিক থেকে দেশটি ‘সিসমিক জ়োন’ ৪ এবং ৫-এর মধ্যে পড়ে। কোনও এলাকা ‘সিসমিক জ়োন’ ৫-এর অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অর্থ সেখানে কম্পনের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। কোনও অঞ্চলে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা কতটা রয়েছে, তার উপর নির্ভর করে এই অঞ্চলগুলিকে ভাগ করা হয়। ২০১৫ সালে নেপালে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ৯০০০-এরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। ভেঙে পড়েছিল বহু ঘরবাড়ি এবং স্থাপত্য। তার পরেও নেপালে একাধিক ছোট কিংবা মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন