India-US Tariff Row

‘একতরফা ব্যবসা করে যাচ্ছিল ভারত, এখন দেরি হয়ে গিয়েছে’! শাস্তিমূলক শুল্ক প্রত্যাহারের সম্ভাবনা খারিজ করলেন ট্রাম্প

সমাজমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, ভারত তার বেশির ভাগ তেল এবং সামরিক পণ্য রাশিয়া থেকে কেনে। আমেরিকা থেকে খুব কম। তারা এখন শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে, কিন্তু দেরি হয়ে গিয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২০:১৬
After PM Narendra Modi Meets Xi Jinping and Vladimir Putin, US President Donald Trump says, ties with India was one-sided disaster

ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।

শুল্কবিবাদের আবহে আবার ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর সে জন্য বেছে নিলেন তিয়ানজ়িনে শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) শীর্ষসম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকের পরের সময়টিকেই। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ভারতীয় পণ্যের উপর শাস্তিমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করবে না আমেরিকা।

Advertisement

সোমবার সন্ধ্যায় ভারতীয় পণ্যের উপর জরিমানা-সহ ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পক্ষে আবার সওয়াল করেছেন ট্রাম্প। তাঁর অভিযোগ, গত কয়েক দশক ধরে চলা নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটনের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে ‘একতরফা বিপর্যয়’ বলে চিহ্নিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট! তিনি লিখেছেন, ‘‘খুব কম মানুষই বোঝেন যে আমরা ভারতের সঙ্গে খুব কম ব্যবসা করি। কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে ব্যবসা করে। সোজা কথায় বলতে গেলে, ভারত আমাদের কাছে প্রচুর পরিমাণে পণ্য বিক্রি করে। আমরা তাদের সবচেয়ে বড় গ্রাহক (ক্লায়েন্ট)। কিন্তু আমরা তাদের খুব কম পরিমাণ পণ্য বিক্রি করি।’’

এমন পরিস্থিতি চলতে পারে না দাবি করে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘ভারত এখন আমাদের উপর এত বেশি শুল্ক আরোপ করেছে, যা অন্য যে কোনও দেশের তুলনায় সর্বোচ্চ। আমরা আমাদের পণ্য ভারতে বিক্রি করতে অক্ষম। এটি সম্পূর্ণ একতরফা বিপর্যয়!’’ প্রসঙ্গত, বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ৩০ জুলাই ভারতের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন। একই সঙ্গে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্কের কারণে অতিরিক্ত ও অনির্দিষ্ট একটি ‘জরিমানা’ (পেনাল্টি)-র কথাও জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। এর পরে গত ৬ অগস্ট ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্কের উপর আরও ২৫ শতাংশ জরিমানা (অর্থাৎ মোট ৫০ শতাংশ) আরোপ করার কথা ঘোষণা করেন। যা ব্রাজিল ছাড়া অন্য সমস্ত দেশের উপর আরোপিত মার্কিন শুল্কের মধ্যে সর্বোচ্চ।

গত ২৭ অগস্ট থেকে সেই শাস্তিমূলক শুল্ক কার্যকর হয়েছে। আর তা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা যে আমেরিকার নেই, সে কথাও সোমবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন ট্রাম্প। সমাজমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘‘ভারত তার বেশির ভাগ তেল এবং সামরিক পণ্য রাশিয়া থেকে কেনে। আমেরিকা থেকে খুব কম। তারা এখন তাদের শুল্ক পুরোপুরি কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে, কিন্তু দেরি হয়ে গিয়েছে। তাদের বহু বছর আগেই তা করা উচিত ছিল।’’ ট্রাম্পের দাবি, ভারত ২০২৪ সালে আমেরিকা থেকে ৪১৫০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছিল। অন্য দিকে, ৮০০০ কোটি ডলারেরও বেশি পণ্য রফতানি করেছিল আমেরিকায়। এই বাণিজ্য ঘাটতিকে ‘মানুষের চিন্তা করার জন্য কিছু সহজ তথ্য’ বলে চিহ্নিত করেছেন তিনি। ঘটনাচক্রে, সোমবার সকালেই মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো বলেছিলেন, “আমাদের (ভারত এবং আমেরিকা) বোঝাপড়ার ভিত্তি হল দুই দেশের দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক। আমরা উপলব্ধি করতে পেরেছি যে, আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্কে দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে।” তার পরেই এমন বার্তা এল ট্রাম্পের তরফে।

Advertisement
আরও পড়ুন