Bangladesh Election

‘সোজা আঙুলে ঘি না-উঠলে...’! এ বার হুমকি দিল জামাত, বাংলাদেশে ভোটের আগে কেন অশান্তির আশঙ্কা?

জামাতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মহম্মদ তাহের বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গণভোট না-করালে অন্তর্বর্তী সরকারের বিপদ বাড়বে।’’

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:৫৮
Bangladesh Jamaat-e-Islami warns muhammad yunus led interim government, demands July Charter before General Election

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদের নির্বাচন করানোর জন্য পুরোদমে তোড়জোড় শুরু করেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। কিন্তু জুলাই সনদ গণভোট নিয়ে এখনও কিছুই ঘোষণা করেননি ইউনূস। অন্তর্বর্তী সরকারের এই অবস্থান নিয়ে এ বার খোলাখুলি উষ্মা প্রকাশ করল ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি’ (‘জামাত’ নামেই যা পরিচিত)।

Advertisement

জামাতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মহম্মদ তাহের বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছে। ফেব্রুয়ারি কাছাকাছি চলে এসেছে, কিন্তু গণভোটের তারিখ ঘোষণা হচ্ছে না। নির্বাচনের আগে গণভোট করতে হবে।’’ এর পরেই তাঁর খোলাখুলি হুঁশিয়ারি— ‘‘সোজা আঙুলে যদি ঘি না-উঠলে আঙুল বাঁকা করব।’’ জুলাই সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গণভোট না-করালে অন্তর্বর্তী সরকারের বিপদ বাড়বে বলেও হুমকি দেন তিনি।

২০২৪ সালের ৫ অগস্ট জনবিক্ষোভের জেরে ক্ষমতা হারানোর দিন কয়েক আগে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিলেন শেখ হাসিনা। কিন্তু ক্ষমতার পালাবদলের পর ‘মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী’ এই রাজনৈতিক দলটির দাপট ক্রমশই বাড়ছে বাংলাদেশে। বস্তুত, তারা এখন মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ‘অন্যতম চালিকাশক্তি’ হিসাবে পরিচিত। সম্প্রতি ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী-সহ চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থীরা। এই পরিস্থিতিতে তাদের হুঁশিয়ারি ঘিরে তৈরি হয়েছে নতুন অশান্তির আশঙ্কা।

চলতি বছরের ৫ অগস্ট ক্ষমতার পালাবদলের বর্ষপূর্তিতে ‘৩৬ জুলাই উদ্‌যাপন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়েছিল। ২৮ দফার ওই ঘোষণাপত্র হল ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের একটি দলিল, যার মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। মুজিবুর রহমান এবং হাসিনার আমলে ‘আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারের’ পাশাপাশি সমালোচনা করা হয়েছে দুই সেনাশাসক, জিয়াউর রহমান (বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা) এবং হুসেন মহম্মদ এরশাদের (জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা) জমানারও। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ হিসাবে ঘোষণার কথাও বলা হয়েছে ওই সনদে। যদিও তার রূপায়ণের পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে এখনও মতবিরোধ রয়েছে। জামাত নেতৃত্ব সই করলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের একাংশের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এখনও সনদে স্বাক্ষর করেনি।

Advertisement
আরও পড়ুন