Hefazat-e-Islam Bangladesh

জামায়াতকে রুখতে আর এক ইসলামপন্থী দলকে পাশে চায় বিএনপি, বৈঠকে খালেদার দূত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি হেফাজতে ইসলামের প্রধান (আমির) মুহিব্বুল্লা বাবুনগরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মুহিব্বুল্লাহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এনসিপি নেতা নাহিদ ইসলামও!

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:১৫
BNP wants to tie up with another Islamist party, Hefazat-e-Islam Bangladesh to combat Bangladesh Jamaat-e-Islami

(বাঁদিকে) খালেদা জিয়া এবং মুহিব্বুল্লা বাবুনগরী (ডানদিকে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামপন্থী দল হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে জোট গড়তে চাইছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল বিএনপি। বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক মঞ্চ স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ গত বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকায় হেফাজতে ইসলামের প্রধান (আমির) মুহিব্বুল্লা বাবুনগরীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে।

Advertisement

এর আগে গত ১ অগস্ট বিএনপির দুই নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ ও নজরুল ইসলাম খান চট্টগ্রামে গিয়ে হেফাজতে প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে গত বৃহস্পতিবারই নবগঠিত রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ (এনসিপি)-র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ঢাকায় হেফাজতের আমির মুহিব্বুল্লার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বলে প্রকাশিত খবরে দাবি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে স্পষ্ট হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধী কট্টরপন্থী দল ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ (‘জামাত’ নামেই যা পরিচিত)-র দাপট ক্রমশ বাড়ছে। জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির সমর্থিত প্রার্থীদের কাছে ধরাশায়ী হয়েছে প্রাক্তন শাসকদল বিএনপির ছাত্রশাখা ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল’-এর প্রার্থীরা। এই পরিস্থিতিতে বিএনপি নেতৃত্ব কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতের সঙ্গে সমঝোতার পথে হাঁটতে উদ্যোগী হয়েছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে।

গত বছরের অগস্টে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ঘিরে দানা বাঁধা প্রবল জনবিক্ষোভের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন হাসিনা। সেই আন্দোলনের অন্যতম ‘মুখ’ নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনত আবদুল্লার মতো ছাত্রনেতারা পরবর্তী কালে এনসিপি গড়েন। মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের পাশাপাশি জামায়াতে নেতৃত্বের সঙ্গেও নাহিদদের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। ইতিহাস বলছে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জামাত নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে পাকিস্তান সেনার পক্ষে কাজ করেছিলেন।

রাজাকার, আল বদর ঘাতকবাহিনীর সদস্য হিসাবে গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে একাধিক জামাত নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। হাসিনার জমানায় কয়েক জনের সাজাও হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। অন্য দিকে, খালেদার স্বামী তথা বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান পাক সেনার প্রথম বাঙালি অফিসার হিসাবে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। শেখ মুজিবুর রহমানের মতোই জিয়াও স্বাধীনতার অন্যতম ঘোষক বলে পরিচিত। ২০১০ সালে গঠিত হেফাজতে ইসলামপন্থী দল হলেও তাদের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরাসরি পাকিস্তান ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ নেই।

Advertisement
আরও পড়ুন