US-China Tariff War

এ বার আমেরিকার বোয়িং বিমান কেনা বন্ধ করল চিন! ট্রাম্প বনাম জিনপিং শুল্কযুদ্ধ থামছেই না, এর পর কী?

আমেরিকার সঙ্গে শুল্কযুদ্ধের আবহে জিনপিং সরকারের এই পদক্ষেপে বোয়িংয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী এয়ারবাস এবং ‘কমার্শিয়াল এয়ারক্রাফ্ট কর্পোরেশন অফ চায়না’ (কোম্যাক) লাভবান হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:৫৮
China stops US-made Boeing jet deliveries as tariff war expands

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

শুল্কযুদ্ধের ফলাফল এখনও অমীমাংসিত। তবে ওয়াশিংটন-বেজিং দ্বৈরথের জেরে এ বার বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে মার্কিন বিমান নির্মাতা সংস্থা বোয়িং। ব্লুমবার্গে প্রকাশিত এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বোয়িংকে নতুন বিমান সরবরাহের বরাত না দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের সরকার নির্দেশ দিয়েছে চিনা বিমান পরিবহণ সংস্থাগুলিকে।

Advertisement

পাশাপাশি, বোয়িং নির্মিত বিমানের যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রেও চিন নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে বলে প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি। আমেরিকা বনাম চিন শুল্কযুদ্ধ ক্রমশই তীব্র হচ্ছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চিনা পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে করেছেন ১৪৫ শতাংশ। তার জবাবে আমেরিকার পণ্যে ১২৫ শতাংশ ‘প্রতিশোধমূলক শুল্ক’ বসিয়েছে চিন। এর ফলে বোয়িং মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আগেই একটি রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল।

বেজিঙের নতুন সিদ্ধান্তে কার্যত চিন থেকে ব্যাবসা গোটাতে হবে মার্কিন বিমান নির্মাতা সংস্থাটিকে। জিনপিং সরকারের এই পদক্ষেপে প্রতিদ্বন্দ্বী এয়ারবাস এবং ‘কমার্শিয়াল এয়ারক্রাফ্ট কর্পোরেশন অফ চায়না’ (কোম্যাক) লাভবান হবে বলে মনে করছেন অনেকেই। তবে ব্লুমবার্গের ওই প্রতিবেদন বলছে, আন্তর্জাতিক উড়ানের ক্ষেত্রে বোয়িংয়ের চাহিদার কথা মাথায় রেখে মার্কিন বিমান সংস্থার তৈরি বিমান ভাড়া নেওয়ার জন্য চিনা সংস্থাগুলিকে পরামর্শ দিয়েছে জিনপিং সরকার। প্রকাশিত একটি খবরে দাবি, চিনের শীর্ষস্থানীয় তিনটি বিমান সংস্থা— এয়ার চায়না, চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স এবং চায়না সাদার্ন এয়ারলাইন্স ২০২৫-২৭ সালের মধ্যে যথাক্রমে ৪৫, ৫৩ এবং ৮১টি বোয়িং বিমানের কেনার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছিল। কিন্তু তাতে বাধ সাধলেন জিনপিং।

Advertisement
আরও পড়ুন