Iran Israel Conflict

ট্রাম্প তেহরান খালি করার কথা বলতেই তেলের আন্তর্জাতিক বাজারে উদ্বেগ! আরও ঊর্ধ্বমুখী অপরিশোধিত তেলের দাম

তেহরান থেকে সকলকে অন্যত্র সরে যেতে বলেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর এই বার্তার পরেই তেলের আন্তর্জাতিক বাজারে ফের উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। আরও বেড়েছে অপরিশোধিত তেলের দাম।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০২৫ ১৫:০৯
ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরান খালি করার কথা বলতেই বৃদ্ধি পেল অপরিশোধিত তেলের দাম।

ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরান খালি করার কথা বলতেই বৃদ্ধি পেল অপরিশোধিত তেলের দাম। ছবি: রয়টার্স।

পশ্চিম এশিয়ায় সংঘর্ষের পরিস্থিতির মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ফের বৃদ্ধি পেল! ইরান এবং ইজ়রায়েলের মধ্যে সংঘর্ষ মঙ্গলবার পঞ্চম দিনে পড়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার ভোরে (ভারতীয় সময় অনুসারে) তেহরান থেকে সকলকে সরে যেতে বলেছেন। ট্রাম্পের ওই বার্তার পরেই অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

Advertisement

গত সপ্তাহে ইরানের পরমাণুকেন্দ্রে ইজ়রায়েলি হামলার পরেই অপরিশোধিত তেলের দাম ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে ফের বৃদ্ধি পেয়েছে তেলের দাম। আমেরিকার বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত তেলের দাম ৮৭ সেন্ট (১০০ সেন্টে এক ডলার) বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ব্যারেলপিছু ৭২.৬৪ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৬২৬৮ টাকা)। বেঞ্চমার্ক হল একটি নির্দিষ্ট অপরিশোধিত তেল, যা বিশ্ববাজারে তেলের দাম নির্ধারণের জন্য মানদণ্ড হিসাবে ব্যবহার হয়।

একই রকম ভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম নির্ধারণের অপর মানদণ্ড ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দামও ৮৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেটির ব্যারেলপিছু দাম বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭৪.১০ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৬৩৮৯ টাকা)। বস্তুত, বিশ্বের খনিজ তেলের ভান্ডারের প্রায় ১০ শতাংশ রয়েছে ইরানের হাতে। বিশ্বে তেল রফতানিকারী দেশগুলির মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে রয়েছে ইরান। পেট্রোলিয়াম রফতানিকারী দেশগুলির সংস্থা ওপেক-এর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী রাষ্ট্র এটি। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ইজ়রায়েল এবং ইরানের সংঘর্ষের মাঝে আন্তর্জাতিক অপরিশোধিত তেলের বাজারেও উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

বর্তমানে প্রায় ৮৫ শতাংশ অপরিশোধিত তেলই অন্য দেশ থেকে আমদানি করে ভারত। এর মধ্যে প্রায় ৩৮ শতাংশ কেনা হয় রাশিয়া থেকে। এ ছাড়া ওপেক গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলি থেকে প্রায় ২৩ শতাংশ তেল কেনে ভারত। রাশিয়া থেকে তেল কেনা শুরুর পরে ওপেক গোষ্ঠীর রাষ্ট্রগুলির উপর নির্ভরশীলতা অনেকটা কমেছে নয়াদিল্লির।

গত শুক্রবার থেকে ইজ়রায়েল এবং ইরানের সংঘর্ষে দু’পক্ষেরই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উভয়েই একে অন্যের উপর হামলা চালাচ্ছে। দু’দেশই পরস্পরের বিরুদ্ধে অসামরিক পরিকাঠামোয় হামলার অভিযোগ তুলেছে। পশ্চিম এশিয়ায় সংঘর্ষের পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। নয়াদিল্লিতে ইরানের দূতাবাস থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ইরানের ২২৪ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন ১২৫৭ জন। অন্য দিকে ইজ়রায়েলে এখনও পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।

Advertisement
আরও পড়ুন