(বাঁ দিকে) ভ্লাদিমির পুতিন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
ভ্লাদিমির পুতিনের উপর আর ভরসা করতে পারছেন না ‘বন্ধু’ ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার রাতে ইউক্রেনে নাগাড়ে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালানোয় রুশ প্রেসিডেন্টের উপর চটেছেন তিনি। বলেছেন, “বদ্ধ উন্মাদ হয়ে গিয়েছেন পুতিন। বিনা কারণে বহু মানুষকে মারছেন।” খানিক হুঁশিয়ারির সুরেই তিনি বলেছেন, “উনি (পুতিন) যদি পুরো ইউক্রেন পেতে চান, তা হলে তা রাশিয়ার পতনের কারণ হবে।”
ট্রাম্প দ্বিতীয় বার হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করার পর রাশিয়া এবং ইউক্রেনকে নিয়ে আমেরিকার অবস্থান ক্রমশ বদলাচ্ছিল। জো বাইডেনের আমলে ওয়াশিংটন যে পুতিন-বিরোধী অবস্থান নিয়ে চলছিল, তা থেকে অনেকটাই সরে আসেন ট্রাম্প। বরং ডেমোক্র্যাট আমলের মতো নিঃশর্তে সামরিক সাহায্য যে মিলবে না, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কিকে তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন ট্রাম্প। এ হেন পরিস্থিতিতে পুতিনকে ট্রাম্পের তোপ দাগা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। তিন বছর পরে গত সপ্তাহে প্রথম বার কোনও মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই মুখোমুখি আলোচনায় বসেছিল দু’পক্ষ। তুরস্কের ইস্তানবুলে ওই বৈঠকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না হলেও দু’পক্ষই পর্যায়ক্রমে ১০০০ জন করে যুদ্ধবন্দি বিনিময়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তা মেনে নিয়ে যুদ্ধবন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়া শুরু করে রাশিয়া এবং ইউক্রেন। কিন্তু এই আপাত শান্ত পরিস্থিতির মধ্যেই শনিবার রাতে ইউক্রেনের রাজধানী কিভ এবং সংলগ্ন এলাকায় একের পর এক রুশ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন আছড়ে পড়তে থাকে। এই হামলায় ২৪ ঘণ্টায় সে দেশে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার রাতেই নিউ জার্সিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, “আমি পুতিনকে নিয়ে খুশি নই। উনি অনেক মানুষকে মারছেন।” বেশি রাতে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে আরও শাণিত ভঙ্গিতে রুশ প্রেসিডেন্টকে আক্রমণ করেন ট্রাম্প। লেখেন, “আমি জানি না ওঁর কী হয়েছে।”