(বাঁ দিকে) আব্দিরহমান মহম্মদ আব্দুল্লাহি এবং বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (ডানদিকে)। —ফাইল চিত্র।
আফ্রিকার দেশ সোমালিয়া ভেঙে তৈরি হওয়া সোমালিল্যান্ডকে ‘স্বাধীন এবং সার্বভৌম রাষ্ট্র’ হিসাবে স্বীকৃতি দিল ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার। ইজ়রায়েলই বিশ্বের প্রথম দেশ যারা সোমালিল্যান্ডকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিল।
১৯৯১ সালে সোমালিল্যান্ড একতরফা ভাবে সোমালিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল। সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুতে ক্ষমতাসীন সরকারের নিরবচ্ছিন্ন সামরিক ও কূটনৈতিক চাপ সত্ত্বেও গত তিন দশক ধরে ধীরে ধীরে রাষ্ট্রের পরিকাঠামো গড়ে তুলেছে সোমালিল্যান্ড। রাজধানী হারগেইসায় অসামরিক প্রশাসনিক সদর দফতর স্থাপনের পাশাপাশি নিজস্ব ও সশস্ত্র বাহিনী, মুদ্রা এবং সমান্তরাল কূটনৈতিক যোগাযোগ ব্যবস্থাও গড়ে তুলেছে।
এ বার প্রথম দেশ হিসেবে ইজ়রায়েল তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করল। নেতানিয়াহুর দফতরের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী আজ সোমালিল্যান্ড প্রজাতন্ত্রকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির ঘোষণা করলেন।’’ অন্য দিকে, সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরহমান মহম্মদ আব্দুল্লাহি তেল আভিভের স্বীকৃতিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘‘এটি একটি কৌশলগত অংশীদারির সূচনা।’’ ঘটনাচক্রে, সোমালিয়া এবং সোমালিল্যান্ড দু’টিই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। পশ্চিম এশিয়ায় শত্রুদের চাপে রাখতেই এ বার নেতানিয়াহু আফ্রিকায় এক মুসলিম দেশের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারির পথে হাঁটছেন বলে কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা। তেল আভিভের পদক্ষেপের নিন্দা করে সোমালিয়া বলেছে, ‘‘এই ঘটনা আমাদের সার্বভৌমত্বের উপর বেআইনি আক্রমণ।’’