ইজ়রায়েলি হামলার নিশানায় ইরানি কমান্ডারের গাড়ি। ছবি: রয়টার্স।
লেবাননে হামলা চালিয়ে ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড্স (আইআরজি) বাহিনীর তিন প্রথম সারির কমান্ডারকে মেরে ফেলার দাবি করল ইজ়রায়েল। তাঁদের সঙ্গী এক হিজ়বুল্লা (লেবাননের শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী) কমান্ডারও নিহত হয়েছে বলে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকারের দাবি।
যদিও তেহরানের তরফে এখনও এ বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। লেবাননের সরকারি সংবাদ সংস্থা ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সির (এনএনএ) খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার হারমেল এলাকার হোশ আল-সায়েদ আলি সড়কে একটি চলন্ত গাড়ি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায় ইজ়রায়েল। ওই ঘটনায় গাড়িতে থাকা দুই আরোহী নিহত হন। তবে তাঁদের পরিচয় জানায়নি লেবানন সরকার।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজ়ায় ইজ়রায়েলি হামলা শুরুর পরেই দক্ষিণ লেবাননে সক্রিয় শিয়া জঙ্গিগোষ্ঠী হিজ়বুল্লা তেল আভিভের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করেছিল। তার পরে এক বছর ধরে দু’তরফের সংঘর্ষ চলে। নিহত হন হাইতাম আলি তাবতাবাই, উইসাম হাসান তাওয়েলে, মহম্মদ নামেহ নাসের-সহ হিজ়বুল্লার প্রথম সারির নেতারা। গোটা সংঘাতপর্বে ইরানের আইআরজি বাহিনী ধারাবাহিক ভাবে সহায়তা করেছে হিজ়বুল্লাকে।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন রাতে ইরানের রাজধানী তেহরান এবং একাধিক পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছিল ইজ়রায়েলি যুদ্ধবিমান। ওই অভিযানের পোশাকি নাম ছিল, ‘অপারেশন রাইজ়িং লায়ন’! ইজ়রায়েলি হামলার ন’দিন পরে ২২ জুন ইরানের তিনটি পরমাণুকেন্দ্র, ফোরডো, নাতান্জ় এবং ইসফাহানে হামলা চালিয়েছিল আমেরিকার বি-২ বোমারু বিমান। ফেলা হয় বাঙ্কার ব্লাস্টার সিরিজের সবচেয়ে শক্তিশালী বোমা জিবিইউ-৫৭। সেই অভিযানের পোশাকি নাম ছিল ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’। ২৪ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে যুদ্ধবিরতি হলেও ওয়াশিংটনের দাবি মেনে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করতে রাজি হয়নি তেহরান। যা নিয়ে নতুন করে তেহরান-তেল আভিভ সংঘাত দানা বেঁধেছে।