Kurdistan Workers’ Party

চার দশকের লড়াইয়ে ইতি টানল তুরস্কের কুর্দ বিদ্রোহী বাহিনী, স্বস্তি পাকিস্তানের বন্ধু এর্ডোগানের

কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) জেলবন্দি নেতা আবদুল্লা ওসালানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সংঘর্ষবিরতি এবং অস্ত্রসমর্পণের ঘোষণা করেছে বিদ্রোহীরা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২৫ ১৬:৫৭
Kurdistan Workers’ Party or PKK of Turkey has announced that it plans to disband and disarm

(বাঁদিকে) আবদুল্লা ওসালান, রিচেপ তায়িপ এর্ডোয়ান (ডানদিকে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

স্বাধীন ও সার্বভৌম কুর্দিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে ইতি টেনে দিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়িপ এর্ডোয়ান। কুর্দ সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যেরা বৈঠক করে সংঘর্ষবিরতি এবং অস্ত্রসমর্পণের ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি, সংগঠনও ভেঙে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

উত্তর ইরাকে সংগঠনের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে পশ্চিম এশিয়ার সংবাদমাধ্যম আল জাজ়িরা জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, পিকেকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নেতা, জেলবন্দি আবদুল্লা ওসালান সম্প্রতি সংগঠন ভেঙে দিয়ে সংঘর্ষবিরতি এবং অস্ত্রসমর্পণের বার্তা দিয়েছিলেন। তার পরেই এই সিদ্ধান্ত। গত ডিসেম্বরে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ এবং পালাবদলের সময় কুর্দ-সংখ্যাগরিষ্ঠ সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স (এসডিএফ) এবং ‘পিপলস প্রোটেকশন গ্রুপ’-এর বিরুদ্ধেও সামরিক অভিযান চালিয়ে সাফল্য পেয়েছিলেন পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ এর্ডোগান।

১৯৯৯ সালে আবদুল্লাকে গ্রেফতার করেছিল তুরস্কের সেনা। তার পর আর থেকে তিনি জেলবন্দি। কিন্তু গত ২৬ বছর ধরে বন্দি থাকা সত্ত্বেও কুর্দ জনজাতির মধ্যে তাঁর প্রভাব কমেনি। উল্টে আবদুল্লার দেখানো স্বাধীনতার স্বপ্ন বুকে বয়ে নিয়ে সশস্ত্র লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন তাঁর সহযোদ্ধা ও অনুগামীরা। তুরস্কের সেনার হামলায় গত চার দশকে প্রায় ৪০ হাজার কুর্দ নিহত হয়েছেন। পশ্চিম এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম জনগোষ্ঠী হয়েও কখনও স্বাধীন রাষ্ট্র গড়তে পারেননি কুর্দেরা। পিকেকের নিরস্ত্রীকরণ এবং বিলুপ্তি কুর্দিস্তান আরও একটি সম্ভাবনায় ইতি ঘটাল।

Advertisement
আরও পড়ুন