USAID Controversy

অনুদান-দফতরের ১৬০০ কর্মীকে বরখাস্ত করল ট্রাম্প প্রশাসন, বাকিদের পাঠানো হল ছুটিতে

সম্প্রতি ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন আমেরিকার সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দফতর ভারতের ২.১০ কোটি ডলার (১৮২ কোটি টাকা)-র অনুদান বাতিল করে দেয়। এই টাকা ভারতে আসত দেশের নির্বাচনে ভোটের হার বৃদ্ধি করার জন্য।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:৩৩
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। — ফাইল চিত্র।

বরখাস্ত করা হল আমেরিকার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট বা ইউএসএইড)-র ১,৬০০ জনেরও বেশি কর্মীকে। রবিবার বিবৃতি দিয়ে এমনটাই ঘোষণা করেছে আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। পাশাপাশি, আমেরিকার বাইরে কর্মরত এই সংস্থার আরও বেশ কয়েক জন কর্মীকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, ইউএসএইড-র এক কর্মীকে পাঠানো ইমেলে বলা হয়েছে, ‘‘আমরা দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, কর্মীসংখ্যা কমাতে আপনাকে বরখাস্ত করা হচ্ছে।’’ ইমেলটিতে আরও বলা হয়েছে, যাঁরা ওই ইমেল পেয়েছেন, ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে তাঁদের সকলকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। তবে সংস্থার শীর্ষস্থানীয় নেতা-কর্মীদের এখনও কাজ থেকে ছাঁটাই করা হয়নি। সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, ইউএসএইড কর্মীদের কাছে পাঠানো নোটিস অনুসারে “রবিবার, অর্থাৎ ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত ১১:৫৯ মিনিট থেকে সংস্থার মূল নেতৃত্ব এবং বিশেষ কোনও কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা বাদে বিশ্বের সমস্ত ইউএসএইড কর্মীকে ছুটিতে পাঠানো হচ্ছে।”

গত ২০ জানুয়ারি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের পরেই ৯০ দিনের জন্য বৈদেশিক সাহায্য বন্ধের নির্দেশ দেন ট্রাম্প। অনাহার, অপুষ্টি ও অন্যান্য দুরারোগ্য রোগের বিরুদ্ধে লড়াই থেকে শুরু করে বিশ্ব জুড়ে লক্ষ লক্ষ বাস্তুচ্যুত মানুষকে আশ্রয় দেওয়া— সমস্ত কর্মসূচির জন্য তহবিল বন্ধ করে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন আমেরিকার সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দফতর ভারতের ২.১০ কোটি ডলার (১৮২ কোটি টাকা)-র অনুদানও বাতিল করে দেয়। আমেরিকার দাবি, এই টাকা দেওয়া হত ভারতে ভোটের হার বৃদ্ধি করার জন্য। ট্রাম্পের বক্তব্য, তাঁর পূর্বতন জো বাইডেন সরকার ভারতকে এই অনুদান দিত। এখন আর এই অনুদানের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করছে না ট্রাম্প প্রশাসন।

Advertisement
আরও পড়ুন