যুবরাজ হ্যারি। ছবি রয়টার্স।
ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে তখন শায়িত রাখা হয়েছে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কফিন। তার সামনে দাঁড়িয়ে রাজপরিবারের সদস্যরা গাইছেন জাতীয় সঙ্গীত ‘গড সেভ দ্য কিং’। কিন্তু সেই গানে গলা মেলাতে দেখা গেল না যুবরাজ হ্যারিকে! এমন অভিযোগ ঘিরেই নয়া বিতর্ক দানা বাঁধল ব্রিটেনের রাজপরিবারে।
সোমবার রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। রানিকে চিরবিদায় জানাতে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে জড়ো হয়েছিলেন একাধিক দেশের রাষ্ট্রনেতা, রাজা। ২ হাজারেরও বেশি অতিথি অভ্যাগতের ভিড় চোখে পড়েছে। তবে আলাদা করে নজর কেড়েছেন হ্যারি।
Prince Harry not singing the national anthem
— Kieran (@kierknobody) September 19, 2022#queensfuneral pic.twitter.com/laNk5JMZ6R
একটি ভিডিয়োয় (যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন) দেখা গিয়েছে, ‘গড সেভ দ্য কিং’ যখন গাওয়া হচ্ছে, তখন চুপচাপ দাঁড়িয়ে রয়েছেন হ্যারি। তা হলে কি তিনি সেই সময় জাতীয় সঙ্গীতে গলা মেলাননি? এ নিয়ে দ্বিমত তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন, হ্যারি গলা মিলিয়েছেন। আবার কারও দাবি, হ্যারি সেই সময় জাতীয় সঙ্গীত গাননি। এ নিয়ে জোর তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়েছে নেটমাধ্যমে।
তবে বিতর্ক নিয়ে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এখনও হ্যারি বা ব্রিটেনের রাজ পরিবারের তরফে কেউ মুখ খোলেননি।
প্রসঙ্গত, হ্যারির সঙ্গে ব্রিটিশ রাজ পরিবারের দূরত্বের কথা সর্বজনবিদিত। স্ত্রী মেগানকে নিয়ে রাজপরিবারের সংসর্গ ছেড়ে বর্তমানে আমেরিকায় থাকেন হ্যারি। এ নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল ব্রিটেনে। হ্যারির এই সিদ্ধান্ত রাজপরিবার ভাল চোখে নেয়নি বলেই ব্রিটেনের একাধিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছিল। রানির প্রয়াণের পর সম্প্রতি একটি ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডে দাবি করা হয়েছে, ‘‘চার্লস হ্যারিকে বলেন, এই রকম দুঃখের সময়ে বালমোরাল প্রাসাদে মেগানকে আনা যথাযথ হবে না। কারণ হিসেবে চার্লস জানান, উইলিয়াম-পত্নী কেটও আসবেন না। একেবারে পরিবারের কাছের লোকজনকে ডাকা হয়েছে। বারবার করে বলে দেন, মেগান যেন না আসেন।’’
অনেকের ধারণা, হ্যারির থেকে কয়েক বছরের বড় ও অশ্বেতাঙ্গ মেগানকে রাজপরিবারের বধূ হিসাবে মানতে পারেননি পরিবারের অনেকে। সেই থেকেই দূরত্ব রচনা হয়। এই ঘটনাপ্রবাহের আবহে ঠাকুমার শেষকৃত্যে জাতীয় সঙ্গীত গাননি বলে হ্যারির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠল, তা নতুন করে বিতর্ক বাড়াল বলেই মনে করা হচ্ছে।