আউং সান সু চি। — ফাইল চিত্র।
মায়ানমারের বিরোধী নেত্রী, নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী আউং সান সু চি কি আদৌ বেঁচে আছেন? বেঁচে থাকলেও তাঁর শারীরিক অবস্থা কী রকম? মায়ানমারের জুন্টা সরকারের হাতে বন্দি মায়ের সম্পর্কে এ রকমই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন সু চি-র ছেলে কিম আরিস। লন্ডন থেকে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কিম আক্ষেপ করেন, “দু’বছরেরও বেশি হয়ে গিয়েছে, মাকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি। পরিবারের লোকজন তো দূরের কথা, আইনজীবীরাও দেখা করার অনুমতি পান না। কী করে বুঝব যে, বেঁচে আছেন আউং সান সু চি!”
২০২১-এ সামরিক অভুত্থানের সময়ে গ্রেফতার করা হয়েছিল সু চি-কে। প্রথম প্রথম তাঁর কিছু ভিডিয়ো প্রকাশ করেছিল জুন্টা সরকার। আইনজীবীদের সঙ্গেও দেখা করতে দেওয়া হত তাঁকে। কিন্তু গত দু’বছর সু চি-র সঙ্গে তাঁর পরিচিত কারও দেখা করতে দেওয়া হয়নি। শুধু জানানো হয়েছে, হৃদ্যন্ত্র, হাড় ও মাড়ির সমস্যায় ভুগছেন ৮০ বছর বয়সি নেত্রী। সেই সব রোগ কতটা গুরুতর, বা তাঁর কী ধরনের চিকিৎসা চলছে, সে বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটে জুন্টা সরকার।
এ মাসের শেষে মায়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জুন্টা প্রধান মিন আউং লায়িং। কিমের দাবি, নির্বাচন হলেও তা হবে নেহাত লোকদেখানো। কিমের কথায়, “লায়িং যদি সু চি-কে মুক্তি দেন, বা অন্তত গৃহবন্দি করে রাখেন, তা হলে দেশের মানুষ এই নির্বাচনকে গুরুত্ব দেবেন।” সংবাদ সংস্থা