Russia-Ukraine Conflict

রাশিয়ার পাঠানো বার্তা পেয়েই পুতিনের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করে দেন ট্রাম্প! দাবি ব্রিটিশ দৈনিকের, কী বলা ছিল সেখানে

ব্রিটিশ দৈনিকের প্রতিবেদন অনুসারে, বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো। ওই ফোন কথোপকথনের বিষয়ে জানানো হয় ট্রাম্পকে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:০২
(বাঁ দিকে) ভ্লাদিমির পুতিন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) ভ্লাদিমির পুতিন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

বৈঠক প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেলেও শেষমেশ হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে মুখোমুখি হননি ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার পাঠানো একটি বার্তা (মেমো) পেয়েই ট্রাম্প ওই বৈঠক বাতিল করে দেন বলে দাবি করেছে ব্রিটেনের সংবাদপত্র ‘ফিনানশিয়াল টাইম্‌স’। প্রতিবেদন অনুসারে, বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো। ওই ফোন কথোপকথনের পরেই রুবিয়ো ট্রাম্পকে জানিয়ে দেন যে, মস্কো বোঝাপড়ায় আসতে রাজি নয়। তার পরেই বৈঠক বাতিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন ট্রাম্প। এমনই উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

Advertisement

ইউক্রেনের ডনবাস এলাকাকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে থাকে রাশিয়া। পুতিন চান ওই এলাকাকে রুশ ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত করতে। যুদ্ধ স্থগিত করতে ইউক্রেনের উপর আরও কিছু শর্ত চাপিয়ে রেখেছে রাশিয়া। তার একটি হল, ইউক্রেনকে সামরিক বাহিনীর সদস্যসংখ্যা কমাতে হবে। আর একটি শর্ত হল, আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটো-য় নিজেদের অন্তর্ভুক্ত না-করার নিশ্চয়তা দিতে হবে ইউক্রেনকে। ইউক্রেনের অবশ্য পাল্টা দাবি, দুই দেশের বর্তমান সীমারেখা মেনেই সংঘর্ষবিরতি হোক। ট্রাম্প নিজেও এখন তা-ই চান। কিন্তু রাশিয়ার পাঠানো মেমোতে নাকি পুরনো সেই দাবিগুলির কথাই ফের তোলা হয়েছে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, তাতেই রুষ্ট হয়েছেন ট্রাম্প। দুই দেশের দুই শীর্ষ আধিকারিকদের ফোন কথোপকথনেও রফাসূত্র মেলেনি।

ফিনানশিয়াল টাইম্‌স-এর এই প্রতিবেদন নিয়ে এখনও প্রকাশ্যে মুখ খোলেনি রাশিয়া বা ইউক্রেন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তারা এখনও এই খবরের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

আগামী ফেব্রুয়ারিতে পাঁচ বছর পূর্ণ হয়ে যাবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। বার বার পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা করেও যুদ্ধ থামাতে পারেননি ট্রাম্প। কোনও সমঝোতা হয়নি। সম্প্রতি হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে ট্রাম্প ও পুতিনের একটি বৈঠক হতে পারে বলে জল্পনা চলছিল। কিন্তু তা-ও শেষ পর্যন্ত হয়নি। এই পরিস্থিতিতে গত রবিবার হতাশ ট্রাম্প জানান, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে দেখা করে আর তিনি সময় নষ্ট করতে চান না।

Advertisement
আরও পড়ুন