গুলি চলার পরে ঘিরে ফেলা হয়েছে আমেরিকার ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। ছবি: রয়টার্স।
আমেরিকার ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তখন এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়ছে কালো পোশাক পরা বন্দুকবাজ। কোনও মতে একটি ঘেরাটোপে ঢুকে মাকে মেসেজ করেছিলেন ছাত্র। লিখেছিলেন, ‘‘মা গুলি চলছে। আমি পালাচ্ছি। তোমাকে ভালবাসি।’’ একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সেই মেসেজের কথা জানিয়েছেন শামসাহ আমারসি। আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন দু’জন। আহত আট। এখনও বন্দুকবাজের খোঁজ মেলেনি। গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন লকডাউন।
আমারসি ফক্স নিউজ়কে জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা যখন প্রায় শেষের পথে, তখন শুরু হয় গোলাগুলি। তাঁর পুত্র জেডেন আনসেলমো তাঁকে প্রথম মেসেজটি পাঠিয়েছিলেন। শনিবার বিকেলে তখন ঘড়িতে বাজে ৪টে ৫ মিনিট (স্থানীয় সময়)। মেসেজটি পেয়ে বাক্রুদ্ধ হয়ে পড়েন আমারসি। পুত্র জেডেন তাঁকে জানান, ১২ জন সহপাঠীর সঙ্গে জিনিসপত্র রাখার একটি আলমারিতে লুকিয়ে রয়েছেন। কোনও ভাবেই মোবাইলে যাতে কোনও শব্দ না হয়, পুত্রকে তা নিশ্চিত করতে বলেন আমারসি। জেডেন নিরাপদেই ছিলেন ক্যাম্পাসে। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয় বলে খবর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বারুস অ্যান্ড হোলি বিল্ডিংয়ে চলেছিল গুলি। প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে জানা গিয়েছে, ওই সাত তলা ভবনে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং পদার্থবিদ্যার ক্লাস হয়। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পরীক্ষা চলছিল। সে সময় গুলি চলে সেখানে। প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছিল, এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে জানা যায়, অভিযুক্ত ফেরার। শনিবার সন্ধ্যায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, বিষয়টি তাঁকে জানানো হয়েছে। নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। প্রভিডেন্স শহরের এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পড়ছে এমন পড়ুয়ার সংখ্যা ৭,৩০০। স্নাতকোত্তর পাঠরত পড়ুয়ার সংখ্যা ৩,০০০।