সমাজমাধ্যমে ‘লাইভ’ চলাকালীন আততায়ীর গুলিতে মৃত্যু ভ্যালেরিয়া মার্কেজ়ের। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।
সমাজমাধ্যমে ‘লাইভ’ চলাকালীন আততায়ীর গুলিতে মৃত্যু হল নেট প্রভাবীর। ২৩ বছরের ওই ‘ইনফ্লুয়েন্সার’-এর নাম ভ্যালেরিয়া মার্কেজ়। ইনস্টাগ্রামে এক লক্ষেরও বেশি ফলোয়ার ছিল মেক্সিকোর জাপোপানের বাসিন্দা ওই তরুণীর।
জালিস্কোর অ্যাটর্নি জেনারেলের দফতর জানিয়েছে, নিজের বিউটি সেলুন থেকে লাইভে এসে সমাজমাধ্যমে অনুসারীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন ভ্যালেরিয়া। ঠিক তখনই কেউ পার্সল ডেলিভারি দেওয়ার নাম করে তাঁর দরজায় এসে কড়া নাড়ে। পার্সলটি নিয়ে ফের আসনে এসে বসেন ভ্যালেরিয়া। পার্সলের মোড়ক খুলতে খুলতেই ফের কথা বলতে শুরু করেন আগের ছন্দে। তার পর আচমকা শোনা যায় গুলির শব্দ। চেয়ারের এক পাশে লুটিয়ে পড়েন ভ্যালেরিয়া। সরাসরি সম্প্রচার হওয়া ওই ভিডিয়োয় ভ্যালেরিয়াকে অসাড় হয়ে লুটিয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে (যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)। সঙ্গে সঙ্গে রক্তের ছিটে এসে পড়ে তাঁর সামনের টেবিলেও। আর এই সবটাই হয় ‘লাইভস্ট্রিম’ চলাকালীন। এর কিছু ক্ষণ পর অজ্ঞাতপরিচয় কোনও এক ব্যক্তি ভ্যালেরিয়ার ফোনটি হাতে তুলে নিয়ে লাইভ সম্প্রচার বন্ধ করে দেন। কয়েক মুহূর্তের জন্য তাঁর মুখ দেখতে পান দর্শকেরা।
ভিডিয়োর সূত্র ধরে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, ভ্যালেরিয়ার সেলুনে ঢুকে ওই যুবক তাঁকে গুলি করে খুন করেছেন। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। অন্য দিকে, জনপ্রিয় নেটপ্রভাবী ভ্যালেরিয়ার মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। চর্চা শুরু হয়েছে সমাজমাধ্যমেও। প্রসঙ্গত, মাত্র দিন কয়েক আগেই ভেরাক্রুজ় স্টেটের মেয়র পদপ্রার্থী আর একজন মহিলাকেও একই ভাবে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের সময় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। তার পরেই ভ্যালেরিয়াকেও একই ভাবে খুন করা হল।