Turkish Court Fined Man

প্রাক্তন স্ত্রীর নাম মোবাইলে ‘সেভ’ করেছিলেন ‘মোটু’ নামে, তুরস্কের যুবককে জরিমানা করল আদালত

তুরস্কের আইন অনুযায়ী, কোনও শব্দবন্ধ বা কাজে কারও মর্যাদাহানি হলে তা গর্হিত অপরাধ। অপরাধ প্রমাণ হলে ২ বছর পর্যন্ত কারাবাস এবং আর্থিক জরিমানা হতে পারে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ১২:৪৮
Mobile

—প্রতীকী চিত্র।

বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে মামলা করেছিলেন স্বামী। মাস কয়েক আগে তাতে আইনি সিলমোহর পড়়েছে। কিন্তু প্রাক্তন স্ত্রীকে মানসিক নির্যাতনের দায়ে শাস্তি পেলেন সেই যুবক। তাঁকে আর্থিক জরিমানা করল আদালত। ঘটনাটি ঘটেছে তুরস্কে।

Advertisement

ওই প্রাক্তন দম্পতির এক সন্তান রয়েছে। বিবাহবিচ্ছেদের মামলার প্রেক্ষিতে স্বামীর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছিলেন মহিলা। আদালতে প্রমাণ হিসাবে তিনি কিছু মেসেজ দেখান। যেখানে প্রাক্তন স্বামী তাঁকে লিখেছিলেন, ‘বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাও। আর ওই মুখ দেখতে চাই না,’ ‘শয়তানের মুখ দেখলাম’ ইত্যাদি বার্তা। অন্য দিকে, প্রাক্তন স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ করেছিলেন যুবক। কিন্তু আদালত জানায়, এমন কোনও সম্পর্ক ছিলইউ না ওই মহিলার। বরং স্ত্রীকে তিনি মানসিক ভাবে পীড়া দিয়েছেন বহু বার। এর মধ্যেই প্রকাশ্যে আসে আর এক তথ্য।

প্রাক্তন স্বামীর মোবাইল পরীক্ষা করে দেখতে আদালতে আবেদন করেছিলেন মহিলা। বিচারক দেখেন, ওই যুবক প্রাক্তন স্ত্রীর নাম মোবাইলে ‘সেভ’ করেছিলেন ‘টমবিক’ (মোটা বা স্থূলকায়) নামে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, এতে স্পষ্ট প্রমাণ হয় যে কী ভাবে স্ত্রীকে ছোট করে দেখতেন অভিযুক্ত। পাল্টা যুবক যখন স্ত্রীর পরকীয়া নিয়ে অভিযোগ করেন, বিচারক জানান, এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। আদালত প্রমাণ পেয়েছে, এক বই বিক্রেতা তথা ডেলিভারি বয়ের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক ওই মহিলার। তিনি ওই যুবকের কাছে বইপত্র কেনেন। সেই সূত্রে তাঁদের কথাবার্তা হয়। সন্দেহের বশে স্ত্রীর মর্যাদাহানি করেছিলেন যুবক।

ঠিক কত টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে, তা প্রকাশ্যে জানাননি বিচারক। বন্ধ কোর্ট রুমে এই মামলার ফয়সালা হয়েছে।

তুরস্কের আইন অনুযায়ী, কোনও শব্দবন্ধ বা কাজে কারও মর্যাদাহানি হলে তা গর্হিত অপরাধ। অপরাধ প্রমাণ হলে ২ বছর পর্যন্ত কারাবাস এবং আর্থিক জরিমানা হতে পারে।

Advertisement
আরও পড়ুন