Bangladesh Situation

বিক্ষোভ সামাল দিতে শাহবাগে নামানো হল র‌্যাব, মুজিবের দুই বাড়িতেও ভাঙচুর! নিরাপত্তার ঘেরাটোপে ঢাকা-সহ চার শহর

সকাল থেকে শাহবাগ-সহ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গুলশানে বিভিন্ন দূতাবাসের আশপাশেও পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত। অশান্তি সামাল দিতে শহরে বহু পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:৩০
শুক্রবারও বিক্ষোভ বাংলাদেশের রাস্তায়।

শুক্রবারও বিক্ষোভ বাংলাদেশের রাস্তায়। ছবি: রয়টার্স।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির মৃত্যুর পর থেকে উত্তাল বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাতের তাণ্ডবের পর শুক্রবার সকালেও ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। সকাল থেকে নতুন করে কোথাও ভাঙচুর বা অগ্নিসংযোগের ঘটনা না ঘটলেও বিক্ষিপ্ত ভাবে বিক্ষোভ চলছেই। শাহবাগ চত্বরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বহু মানুষ। ঢাকায় সংবাদপত্র ‘দ্য ডেলি স্টার’-এর পুড়ে যাওয়া দফতরের সামনেও অনেকে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

Advertisement

সকাল থেকে শাহবাগ-সহ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গুলশানে বিভিন্ন দূতাবাসের আশপাশেও পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত। অশান্তি সামাল দিতে শহরে বহু পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদ জানাতে বেলা ১১টার পর ডেলি স্টার-এর দফতরের সামনে জড়ো হন একদল ছাত্রযুব। তাঁদের ঘিরে কয়েক জন ব্যক্তি পাল্টা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতের আগুনে ডেলি স্টার অফিসের নীচের দু’টি তলা পুড়ে গিয়েছে। এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া পর্যন্তও অফিসের ভিতরে ইতস্তত পড়ে রয়েছে দগ্ধ ও ভাঙাচোরা জিনিসপত্র। বেলা পর্যন্ত বাইরে দেখা গিয়েছে পুলিশ ও র‌্যাবের প্রহরা। ঢাকার কারওয়ান বাজারে সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’-র দফতরও পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। সকালেও কয়েকটি জায়গা থেকে ধোঁয়া বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। জরুরি কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। চুরি হয়ে গিয়েছে ক্যামেরা, লেন্স।

সংবাদপত্র ডেলি স্টার-এর পুড়ে যাওয়া দফতর।

সংবাদপত্র ডেলি স্টার-এর পুড়ে যাওয়া দফতর। ছবি: রয়টার্স।

শুক্রবার সকালে শাহবাগে মোড়ে বিক্ষিপ্ত ভাবে মিছিল করে স্লোগান দিতে দেখা যায় একদল বিক্ষোভকারীকে। সকলেরই দাবি, হাদি হত্যার বিচার চাই। সংবাদমাধ্যম ‘বিবিসি বাংলা’-র প্রতিবেদন সূত্রে খবর, বিক্ষোভকারীদের বেশির ভাগই জানান, তাঁরা কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য নন। সকাল ১০টার পর থেকে ধীরে ধীরে শাহবাগ চত্বরে জড়ো হন শ’দুয়েক বিক্ষোভকারী। নতুন করে যাতে কোনও অশান্তি না ছড়ায়, তা নিয়ে সতর্ক রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যেরা।

বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা ও ভাঙচুর শুরু হয়। শুক্রবারও তা অব্যাহত রয়েছে। সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির ভাঙা বাড়ি ফের ভাঙতে দেখা গিয়েছে কয়েক জনকে। বেলা ১২টার দিকেও হাতে শাবল-হাতুড়ি নিয়ে ৩২ নম্বরের ওই বাড়ির অবশিষ্ট দেওয়াল ভাঙতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, বিকেল ৪টে নাগাদ বাংলামোটর থেকে বিক্ষোভ মিছিল করবে তাঁর দল। জনরোষের সুযোগ নিয়ে যাতে কেউ কোথাও ভাঙচুর বা নাশকতামূলক কাজ না করতে পারে, সে নিয়েও জনগণকে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছেন নাহিদ।

সিঙ্গাপুরে ওসমান হাদির দেহ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন অনুগামীরা।

সিঙ্গাপুরে ওসমান হাদির দেহ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন অনুগামীরা। ছবি: রয়টার্স।

Advertisement
আরও পড়ুন