Transgender in US Military

আমেরিকার সেনাবাহিনীতে রূপান্তরকামীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ! ট্রাম্প জমানায় তৃতীয় লিঙ্গ আরও প্রান্তিক

আমেরিকায় দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসেই রূপান্তরকামীদের নিয়ে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত ২৭ জানুয়ারি সেনাবাহিনীতে রূপান্তরকামীদের নিয়ে নয়া আদেশনামায় সই করেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:৪৫
US Army bans transgender from joining military after Donald Trump\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\'s order

আমেরিকার সেনাবাহিনীতে রূপান্তরকামীদের নিয়োগ নিষিদ্ধ। —ফাইল চিত্র।

আমেরিকার সেনাবাহিনীতে আর জায়গা নেই রূপান্তরকামীদের! শুক্রবার সে দেশের সেনাবাহিনী আনুষ্ঠানিক ভাবে বিবৃতি দিয়ে রূপান্তরকামী নিয়োগ বন্ধের কথা জানিয়েছে। কর্মরতদের ক্ষেত্রে লিঙ্গ পরিবর্তন ও সেই সংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধাও দেবে না মার্কিন সেনাবাহিনী।

Advertisement

দ্বিতীয় বার আমেরিকায় ক্ষমতায় এসেই রূপান্তরকামীদের নিয়ে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত ২৭ জানুয়ারি সেনাবাহিনীতে রূপান্তরকামীদের যোগের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন তিনি। সেই আদেশে বলা হয়, এক জন ব্যক্তির ‘লিঙ্গপরিচয়’ নিয়ে ‘দ্বন্দ্ব’ থাকলে তা কখনওই সামরিক বাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় কঠোর মান পূরণ করতে পারে না! সে সময়ই ট্রাম্প প্রশাসন আমেরিকার পেন্টাগন-কে এক মাসের মধ্যে রূপান্তরকামীদের নিয়ে নীতি নির্ধারণের নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ মেনেই আমেরিকার সেনাবাহিনীর তরফে নয়া সিদ্ধান্তের কথা জানানো হল।

প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পরেই ট্রাম্প স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে, আমেরিকায় এ বার থেকে সরকারি খাতায় দু’টিই লিঙ্গ থাকবে— পুরুষ এবং স্ত্রী। এর বাইরে আর কোনও লিঙ্গপরিচয়কে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না তাঁর জমানায়! চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্প জানিয়ে দেন, শীঘ্রই তিনি এ বিষয়ে একটি নির্বাহী আদেশও জারি করবেন। নানা সূত্রে জল্পনা শুরু হয়, এখন থেকে পাসপোর্ট, ভিসা এবং অন্য সব সরকারি নথিপত্রে পুরুষ এবং মহিলা— এই দু’টি লিঙ্গেরই উল্লেখ থাকবে। দিন কয়েক আগেই মেয়েদের খেলায় রূপান্তরকামীদের যোগদানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন।

উল্লেখ্য, রূপান্তরকামীদের জন্য এর আগে সরকারি নথিতে পৃথক লিঙ্গের ব্যবস্থা নিয়ে নীতি চালু করেছিলেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু ট্রাম্প দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসতেই ওই নীতি বদলে ফেলতে উদ্যোগী হন। এমনকি, ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের প্রায় ৫০ শতাংশ জুড়েই ছিল সমকামী ও রূপান্তরকামীদের বিরুদ্ধে প্রচার। প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণের দিন ওয়াশিংটনের বিশপ ম্যারিয়ান এগডার বাড সমাজে সমকামী-রূপান্তরকামী মানুষদের অস্তিত্ব স্বীকার করতে সরাসরি ট্রাম্পকে অনুরোধ করেন। কিন্তু তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। ট্রাম্প রয়ে গিয়েছেন ট্রাম্পেই। সেই আবহে রূপান্তরকামীদের নিয়ে একের পর এক নির্দেশকে ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

Advertisement
আরও পড়ুন