H-1B Visa Rules

এইচ-১বি ভিসার নয়া নিয়মের বিরুদ্ধে এ বার আপিল বিভাগে গেল মার্কিন বণিকসভা! বৈধতা নিয়ে চলেই যাচ্ছে আইনি লড়াই

দক্ষ বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ করার জন্য মার্কিন সংস্থাগুলিকে এইচ-১বি ভিসার ব্যবস্থা করতে হয়। নয়া বিধি অনুসারে, বিদেশি দক্ষ কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে মার্কিন সংস্থাগুলিকে এক লক্ষ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৮৮ লক্ষ টাকা) দিতে হচ্ছে ট্রাম্প সরকারকে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:২৮
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর প্রশাসন সম্প্রতি এইচ-১বি ভিসার নিয়মে বদল এনেছে।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর প্রশাসন সম্প্রতি এইচ-১বি ভিসার নিয়মে বদল এনেছে। — ফাইল চিত্র।

এইচ-১বি ভিসার নতুন নিয়ম নিয়ে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না ডোনাল্ড ট্রাম্পদের। এ বিষয়ে আগেই মামলা হয়েছিল আমেরিকার আদালতে। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নিয়মে বাতিল হয়নি ওই আদালতে। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এ বার আপিল বিভাগের দ্বারস্থ হয়েছে আমেরিকার বণিকসভা। গত সোমবারই ওয়াশিংটন ফেডারেল কোর্টে আপিল নোটিস জমা দিয়েছে তারা।

Advertisement

গত ২৩ ডিসেম্বর আমেরিকার এক আদালত ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষেই রায় দেয়। জানিয়ে দেয় এইচ-১বি ভিসার নতুন নিয়ম বৈধই। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই মামলা হয়েছে ফেডারেল কোর্টে। দক্ষ বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ করার জন্য মার্কিন সংস্থাগুলিকে এইচ-১বি ভিসার ব্যবস্থা করতে হয়। নয়া বিধি অনুসারে, বিদেশি দক্ষ কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে মার্কিন সংস্থাগুলিকে এক লক্ষ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৮৮ লক্ষ টাকা) দিতে হচ্ছে ট্রাম্প সরকারকে। আগে এই ভিসার জন্য আমেরিকার কোনও সংস্থাকে মাত্র ৯৬০ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৮৬ হাজার ৯৩০ টাকা) থেকে সর্বোচ্চ ৭৫৯৫ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৬ লক্ষ ৮৭ হাজার ৭৪৫ টাকা) খরচ করতে হত।

ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠেছে সে দেশের অন্দরেই। ডেমোক্র্যাটশাসিত প্রদেশগুলি এইচ-১বি ভিসা নিয়ে ট্রাম্প-নীতির বিরুদ্ধে ক্রমশ সুর চড়াচ্ছে। এইচ-১বি ভিসার নিয়মেও কড়াকড়ি করেছে আমেরিকার প্রশাসন। সম্প্রতি আমেরিকার বিদেশ দফতর নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছিল, এখন থেকে এইচ-১বি ভিসা মঞ্জুর করার আগে যাচাইপ্রক্রিয়া আরও জোরদার করা হবে। প্রত্যেক আবেদনকারীর বায়োডেটা এবং ‘লিঙ্কডইন’ প্রোফাইল খতিয়ে দেখা হবে। এমনকি, আবেদনকারীর পরিবারের কোনও সদস্য ভুল তথ্য ছড়ানো বা তথ্যবিকৃতির মতো ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কি না, তা-ও যাচাই করা হবে। আবেদনকারী যদি কারও বাক্‌স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেন, সে ক্ষেত্রে খারিজ হয়ে যেতে পারে তাঁর ভিসার আবেদন।

এর আগে এইচ-১বি ভিসার নতুন নিয়মের বিরুদ্ধে মামলা চলছিল আমেরিকার ক্যালিফর্নিয়ার এক আদালতে। গত ২৩ ডিসেম্বর ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষেই রায় দেন বিচারক বেরিল হোয়েল। বস্তুত, ক্যালিফর্নিয়ার আদালতের ওই বিচারককে নিযুক্ত ছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।

Advertisement
আরও পড়ুন