Iran-Israel Conflict

ইরানে মাটির গভীরে থাকা পরমাণুকেন্দ্রকে ধ্বংস করার ক্ষমতা ইজ়রায়েলের নেই! দাবি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের

ইরানের ফোরদো পরমাণুকেন্দ্রটি তৈরি করা হয়েছে পাহাড় কেটে। ওই কেন্দ্রের যাবতীয় কাজ নাকি হয় মাটির গভীরে। সম্ভাব্য হামলা থেকে পরমাণুকেন্দ্রটিকে রক্ষা করতেই তেহরানের এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হয়ে থাকে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২৫ ১৩:৩৯
ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।

ইরানে মাটির গভীরে থাকা পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালাতে পারবে না ইজ়রায়েল! তাদের সেই ক্ষমতাই নেই বলে শুক্রবার দাবি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, “ওদের (ইজ়রায়েল) ক্ষমতা খুবই সীমিত। ওরা (পরমাণু কেন্দ্রের) ছোট একটা অংশকে ভাঙতে পারে মাত্র। কিন্তু গভীরে যেতে পারবে না। সে ক্ষমতা ওদের নেই।”

Advertisement

প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, ইরানে মোট তিনটি পরমাণুকেন্দ্র রয়েছে, যেগুলিতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এগুলির মধ্যে ফোরদো পরমাণুকেন্দ্রটি তৈরি করা হয়েছে পাহাড় কেটে। ওই কেন্দ্রের যাবতীয় কাজ নাকি হয় মাটির গভীরে। সম্ভাব্য হামলা থেকে পরমাণুকেন্দ্রটিকে রক্ষা করতেই তেহরানের এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হয়ে থাকে।

এর আগে ইরানের ফোরদো পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছিল ইজ়রায়েলি বাহিনী। তবে রাষ্ট্রপুঞ্জের আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জানায়, সেটিতে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’ জানিয়েছে, আমেরিকার ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বোমা ইরানের ওই পরমাণুকেন্দ্রকে ধ্বংস করতে পারবে কি না, তা নিয়ে নিশ্চিত হতে চান ট্রাম্প। যদি সেটি পুরোপুরি ধ্বংস করা সম্ভব হয়, তা হলেই ইরানে হামলা করার কোনও অর্থ দাঁড়ায়। সূত্রের খবর, আমেরিকার প্রতিরক্ষা আধিকারিকদের এমনটাই জানিয়েছেন ট্রাম্প। ইরানের ওই পরমাণুকেন্দ্রটি মাটি থেকে কতটা গভীরে তা পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। তবে ইজ়রায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের অনুমান, মাটি থেকে খুব বেশি হলে ৩০০ ফুট (৯০ মিটার) গভীরে থাকতে পারে ওই পরমাণুকেন্দ্রটি।

‘ইজ়রায়েলের ক্ষমতা সীমিত’, এই বার্তা দিয়ে ট্রাম্প আদতে ইরানের বিরুদ্ধে সংঘাতে আমেরিকার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কি খুব শীঘ্রই ইরানের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরছে পেন্টাগন? প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “ওটা হবে শেষ পদক্ষেপ।” তবে এমন পদক্ষেপ আমেরিকা করবে কি না, তা খোলসা করেননি ট্রাম্প। আগেই জানিয়েছিলেন, ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকা সরাসরি সংঘাতে জড়াবে কি না, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তিনি দু’সপ্তাহের মধ্যে নেবেন। শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, ইরানকে তাদের বক্তব্য জানানোর জন্য কিছুটা সময় দেওয়া হয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন