US-China Tariff War

‘প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের এই পরিণাম’, চিনা পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ২৪৫ শতাংশ করছে ট্রাম্প সরকার

ট্রাম্প ১১ এপ্রিল চিনা পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশ করেছিলেন। ১২ এপ্রিল আমেরিকার পণ্যে শুল্ক ৮৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করেছিল চিন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:৫৭
US says, China faces up to 245% tariff on imports due to retaliatory action

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

শুল্কযুদ্ধের আবহে আবার বেজিঙের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল ওয়াশিংটন। এ বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার চিনা পণ্যের উপর শুল্কের পরিমাণ ১৪৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৪৫ শতাংশ করার বার্তা দিয়েছে! হোয়াইট হাউসের তরফে বুধবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

Advertisement

হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট মঙ্গলবার ট্রাম্পের ‘কড়া অবস্থানের’ ইঙ্গিত দিয়ে জানিয়েছিলেন, আমেরিকার পণ্যের উপর চিন প্রতিশোধমূলক শুল্ক বসানোর যে পদক্ষেপ করেছে, তা প্রত্যাহার করা না হলে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বার সেই পথেই হাঁটার হুঁশিয়ারি দিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘চিনের প্রতিশোধমূলক শুল্কের মোকাবিলা করতে ২৪৫ শতাংশ শুল্ক বসানো হতে পারে।’’ ঘটনাচক্রে, ট্রাম্প আমদানিকৃত চিনা পণ্য থেকে ‘জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকি নিয়ে অনুসন্ধানের কথা ঘোষণার পরেই এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হল।

কোবাল্ট, লিথিয়াম এবং নিকেল, এবং স্মার্টফোন এবং ব্যাটারি (বৈদ্যুতিক যানবাহনের জন্য) তৈরিতে ব্যবহৃত বিরল ধাতুর (সামারিয়াম, ডোলিনিয়াম, টারবিয়াম, ডিসপ্রোসিয়াম, লিউটেনিয়াম, স্ক্যানডিয়াম, ইট্রিয়ামমের মতো প্রায় ১৭টি ‘আর্থ মেটাল’) পাশাপাশি সামরিক সরঞ্জাম আমেরিকায় রফতানির উপরেও চিন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে বলে খবর। প্রসঙ্গত, নয়া শুল্কনীতি নিয়ে টানাপড়েনের আবহে গত ৯ এপ্রিল ট্রাম্প অন্যান্য দেশের বাড়তি শুল্ক স্থগিত রাখলেও, চিনের ক্ষেত্রে তা বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করেছিলেন। ১০ এপ্রিল তিনি শুল্ক আরও বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশ করেন। পাল্টা হিসেবে ১২ এপ্রিল আমেরিকার পণ্যে শুল্ক ৮৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করেছিল চিন। মঙ্গলবার ব্লুমবার্গ প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়, আমেরিকার সংস্থা বোয়িংকে নতুন বিমান সরবরাহের বরাত না দেওয়ার জন্য সম্প্রতি চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের সরকার নির্দেশ দিয়েছে সে দেশের বিমান পরিবহণ সংস্থাগুলিকে। ঘটনাচক্রে, এর পরেই শুল্ক আরও বাড়ানোর বার্তা দিল ওয়াশিংটন।

Advertisement
আরও পড়ুন