US Deportation

২২৭ বছরের পুরনো আইনই সহায়, মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আরও বেশি অবৈধবাসী তাড়ানোর সুযোগ পেলেন ট্রাম্প

সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রকাশ্যে আসতেই উচ্ছ্বসিত ট্রাম্প বলেন, “আমেরিকার বিচারব্যবস্থার জন্য দারুণ দিন।” একই সঙ্গে সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, “দেশে আইনের শাসনকে বজায় রাখল সুপ্রিম কোর্ট।”

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৫ ১২:১২
ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।

২২৭ বছরের পুরনো আইন! আমেরিকার এই আইনকে অবলম্বন করেই আরও বেশি অবৈধবাসীকে আমেরিকাছাড়া করতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আইনটির নাম ‘এলিয়েন এনিমিস অ্যাক্ট’। ১৭৯৮ সালের এই আইন এত দিন প্রয়োগ করতে চেয়েও পারেননি ট্রাম্প। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের একটি নিম্ন আদালত সাময়িক ভাবে এই আইনের মাধ্যমে অবৈধবাসী বিতাড়নের প্রক্রিয়া স্থগিত রেখেছিল। কিন্তু সোমবার আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট এই স্থগিতাদেশ তুলে নেয়।

Advertisement

সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রকাশ্যে আসতেই উচ্ছ্বসিত ট্রাম্প বলেন, “আমেরিকার বিচারব্যবস্থার জন্য দারুণ দিন।” একই সঙ্গে সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, “দেশে আইনের শাসনকে বজায় রাখল সুপ্রিম কোর্ট। ফলে এক জন প্রেসিডেন্ট, তিনি যে-ই হোন, দেশের সীমান্ত এবং‌ পরিবারগুলিতে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।”

ট্রাম্প দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসেই আমেরিকায় বসবাসকারী অবৈধবাসীদের সংশ্লিষ্ট দেশগুলিতে ফেরত পাঠাতে শুরু করেছেন। আমেরিকা থেকে তিন দফায় অবৈধবাসী ভারতীয়দের এ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তার পরেও ট্রাম্পের নিশানায় রয়েছেন আদতে ভেনেজ়ুয়েলার বাসিন্দা দস্যু প্রকৃতির কয়েক জন অবৈধবাসী। তাঁদের এল সালভাদরে পাঠাতে চেয়েও ট্রাম্প তা পারেননি। কারণ ২২৭ বছরের পুরনো ওই আইনকে তিনি কাজে লাগাতে পারেননি। সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এ ক্ষেত্রে তিনি এ বার ‘খোলা হাত’ পেলেন।

তবে আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, ওই আইনে কোনও অবৈধবাসীকে দেশছাড়া করার আগে তাঁর হাতে যথেষ্ট সময় দিয়ে নোটিস ধরাতে হবে। সে ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি নোটিসের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবেন। মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারক এই রায়ের পক্ষে থাকলেও বিপক্ষে ছিলেন চার জন বিচারক।

Advertisement
আরও পড়ুন