Saptarshi Maulik

Saptarshi Maulik: শাশুড়িকে নিয়েই হানিমুনে গিয়েছিলাম: ‘ডিঙ্কা’

‘ম্যাম’ স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর সঙ্গে পুজো কাটানোর স্মৃতি আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন অভিনেতা সপ্তর্ষি মৌলিক।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২১ ১৭:৫৯
সদ্য মা-কে হারিয়েছেন সোহিনী সেনগুপ্ত। এ বছর পুজোটা তাই সোহিনী, ‘স্যর’ রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তকে নিয়ে মুসৌরিতে কাটাবেন সপ্তর্ষি।

সদ্য মা-কে হারিয়েছেন সোহিনী সেনগুপ্ত। এ বছর পুজোটা তাই সোহিনী, ‘স্যর’ রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তকে নিয়ে মুসৌরিতে কাটাবেন সপ্তর্ষি।

পুজো। হানিমুন। এবং শাশুড়ি।

অঙ্কটা মিলছে না তো? মেলার কথাও নয়। কিন্তু এটাই পুজোর অন্যতম স্মৃতি সপ্তর্ষি মৌলিকের। এখন মধুরতমও।

সে বছর বিয়ের পর প্রথম পুজো। স্ত্রী সোহিনীকে নিয়ে হানিমুনে দার্জিলিং। তাতেই সঙ্গী হয়েছিলেন শাশুড়ি। স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। ‘‘উনি তো আমার ম্যাম। শাশুড়ি পরে। আমরা বেড়াতে যাব শুনে ম্যাম বললেন, ‘অনেক দিন বেড়াতে যাইনি, আমায় নিয়ে যাবি?’ এত মিষ্টি একটা স্মৃতি,’’ বলছেন ‘ডিঙ্কা’।

সদ্য মা-কে হারিয়েছেন সোহিনী সেনগুপ্ত। এ বছর পুজোটা তাই সোহিনী, ‘স্যর’ রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তকে নিয়ে মুসৌরিতে কাটাবেন অভিনেতা। মনখারাপের পুজোয় কলকাতার শোরগোল থেকে ঢের দূরে।

Advertisement
সোহিনীর বকুনির ভয়ে ইদানীং বেশি জামাকাপড় কিনলেও চুপি চুপি লুকিয়ে রাখেন সপ্তর্ষি।

সোহিনীর বকুনির ভয়ে ইদানীং বেশি জামাকাপড় কিনলেও চুপি চুপি লুকিয়ে রাখেন সপ্তর্ষি।

​​​​‘‘পুজো আসলে বরাবরই একেবারে নিজের মতো করে কাটানোর একটা সময়। ছোটবেলায় তা ছিল বন্ধুদের সঙ্গে বেরনোর স্বাধীনতা। ক্লাস ফাইভে প্রথম সাইকেল নিয়ে পুজোয় ঘোরাঘুরিতে ছাড় দিয়েছিল বাবা। তখন কাছাকাছিই যাওয়া হত। আর একটু বড় হয়ে উত্তরপাড়া থেকে সোজা কলকাতার পুজোয় ছুট,’’ বলছেন সপ্তর্ষি।

পুজো মানে নতুন জামাকাপড়। আর সেই জামাকাপড় কেনাকাটাই বরাবর চুম্বকের মতো টানে। ছোটবেলা থেকে তো বটেই। এই বড়বেলাতেও। স্ত্রী সোহিনীর বকুনির ভয়ে ইদানীং বেশি জামাকাপড় কিনলেও চুপি চুপি লুকিয়ে রাখেন। হাসতে হাসতেই কবুল করছেন অভিনেতা।

‘‘কম বয়সে পুজোর সময় ঝলমলে মেয়েদের দিকে চোখ পড়ত তো বটেই। একটু চোখে চোখে কথা, হাল্কা আলাপ। দিব্যি লাগত!’’

‘‘কম বয়সে পুজোর সময় ঝলমলে মেয়েদের দিকে চোখ পড়ত তো বটেই। একটু চোখে চোখে কথা, হাল্কা আলাপ। দিব্যি লাগত!’’

পুজোর প্রেম?

‘‘সুন্দরের প্রতি সকলেরই আকর্ষণ থাকে। আমিই বা বাদ যাই কেন? উৎসবের দিনগুলিতে সকলেই যত্ন করে নিজেকে সাজান। কম বয়সে পুজোর সময় ঝলমলে মেয়েদের দিকে চোখ পড়ত তো বটেই। একটু চোখে চোখে কথা, হাল্কা আলাপ। দিব্যি লাগত!’’

আর এখন?

‘‘চোখে পড়ে। মনে ধরে না। আসলে সোহিনীর প্রতি আমার ভাললাগাটা একদম খাঁটি। সেটা আর কারও জন্য সম্ভব নয়,’’ সোজাসাপ্টাই জানিয়ে দিলেন ডিঙ্কা।

Advertisement
আরও পড়ুন