ATM

ডিজিটাল লেনদেন বেড়ে যাওয়ায় কমেছে নগদ তোলার প্রয়োজন, দেশ জুড়ে বন্ধ বহু এটিএম

রিপোর্টে আরও বক্তব্য, গত মার্চে দেশে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের শাখার সংখ্যা ছিল ১.৬৪ লক্ষ। যা এক বছর আগের তুলনায় ২.৮% বেশি।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৮:৪২

—প্রতীকী চিত্র।

ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন ক্রমাগত বাড়ছে। তার ফলে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি গুটিয়ে নিয়েছে বেশ কিছু এটিএম। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের রিপোর্টে এমনটাই স্পষ্ট হয়েছে। ব্যাঙ্কের নতুন শাখা খোলার ক্ষেত্রে অবশ্য ছবিটা অন্য রকম। আর্থিক লেনদেনের বিকল্প মাধ্যম বৃদ্ধি সত্ত্বেও গত অর্থবর্ষে শাখা বেড়েছে ২ শতাংশেরও বেশি। মূলত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির উপর নির্ভর করে গ্রাম এবং আধা শহরাঞ্চলে বেড়েছে ব্য়াঙ্কিং পরিকাঠামো। বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি নতুন যে সমস্ত শাখা খুলেছে তার বেশিরভাগই শহরে।

রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ সারা দেশে এটিএম ছিল ২,৫৩,৪১৭টি। ২০২৫ সালের একই দিনে তা নেমে এসেছে ২,৫১,০৫৭-এ। বেসরকারি ব্যাঙ্কের এটিএম ৭৯,৮৮৪ থেকে হয়েছে ৭৭,১১৭। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে ১,৩৪,৬৯৪ থেকে কমে তা হয়েছে ১,৩৩,৫৪৪। ব্যাঙ্ক বাদে বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে স্বাধীন ভাবে চালিত এটিএমের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। সব মিলিয়ে সারা দেশে এটিএম কমেছে ২৩৬০টি। সামগ্রিক সংখ্যার তুলনায় কম হলেও এই প্রবণতাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। শীর্ষ ব্যাঙ্কের রিপোর্টেই যেমন বলা হয়েছে, ‘‘ডিজিটাল প্রযুক্তি বৃদ্ধির ফলে গ্রাহকদের এটিএমের প্রয়োজন কমেছে। মূল কারণ এটিই।’’

রিপোর্টে আরও বক্তব্য, গত মার্চে দেশে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের শাখার সংখ্যা ছিল ১.৬৪ লক্ষ। যা এক বছর আগের তুলনায় ২.৮% বেশি।

আরও পড়ুন