—প্রতীকী চিত্র।
এক দিকে আয়কর কমায় মানুষের হাতে বেশি টাকা থাকা। অন্য দিকে জিএসটি হ্রাসের ফলে পণ্যের দাম কমা। এই দুইয়ের হাত ধরে দেশে ইতিমধ্যেই কিছুটা বেড়েছে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা। কিন্তু সেই ধারা নতুন বছরেও যে বহাল থাকবে, সেই আশা করছে না ভোগ্যপণ্য সংস্থাগুলি। বরং তাদের বক্তব্য, ২০২৬ সালে বিক্রি বাড়লেও, তার বৃদ্ধির হার থাকবে ১০ শতাংশের নীচে। চাহিদা মূলত শহরাঞ্চলেই আটকে থাকবে।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বর্তমানে কেনাকাটার ধরন পাল্টে। অনলাইনে পণ্য কেনার দিকে ঝুঁকছেন ক্রেতা। শহর ছাড়িয়ে সেই প্রবণতা ছড়াচ্ছে অন্যত্র। ফলে সংস্থাগুলিকেও তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিপণন ও বিজ্ঞাপনের ধরন পাল্টাতে হবে। ক্রেতা চাহিদা বুঝতে জোর দিতে হবে কৃত্রিম মেধা ও বিশ্লেষণে। বাড়বে খরচ।
ইমামি গোষ্ঠীর ভাইস চেয়ারম্যান হর্ষ আগরওয়াল জানান, বিপণন ব্যবস্থা বদলাচ্ছে। তাল মেলাতে ডিজিটাল ও প্রযুক্তিনির্ভর পরিকল্পনা করা সংস্থাগুলির পক্ষে জরুরি। তাঁর মতে, ২০২৬-এর প্রথমার্ধে ভোগ্যপণ্যের বিক্রি ততটা বাড়বে না। শেষ ছ’মাসে হাল ফিরতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রেও সামগ্রিক ভাবে বৃদ্ধির হার ১০ শতাংশের মধ্যেই থাকার সম্ভাবনা। ম্যারিকোর এমডি সৌগত গুপ্ত এবং ডাবর ইন্ডিয়ার সিইও মোহিত মলহোত্রেরও বক্তব্য একই। ডাবর কর্তার দাবি, আর্থিক বৃদ্ধি ভাল হওয়া, গ্রামে চাহিদা মাথা তোলা, জিএসটি হ্রাসের মতো ঘটনা কেনাকাটা মাথা তুলতে সাহায্য করবে। তবে ২০২৬-এর পূর্বাভাস বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বলেই জানাচ্ছেন গোদরেজ কনজ়িউমার্সের এমডি সুধীর সীতাপতি। তাঁর বক্তব্য, গত চার-পাঁচ বছরে বিক্রি বৃদ্ধির হার ৫%-৬%। জিডিপি বৃদ্ধির হার যেখানে ৭%-৮%। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, এক শ্রেণির মানুষের আয় সে ভাবে বৃদ্ধি না পাওয়াই এর কারণ।