—প্রতীকী চিত্র।
নভেম্বরে ৬.৭ শতাংশে পৌঁছল শিল্পবৃদ্ধির হার। যা গত বছরের এই সময়ের ৫ শতাংশের থেকে বেশি তো বটেই, দু’বছরে সর্বাধিক। ২০২৩ সালের নভেম্বরে ওই হার ছিল ১১.৯%। সোমবার পরিসংখ্যান দফতর জানিয়েছে, মূলত উৎপাদন ও খনন শিল্পে ভাল ফলই গত মাসে টেনে তুলেছে শিল্পবৃদ্ধিকে। বিশেষত, জিএসটি কমায় দেশে যে চাহিদা তৈরি হয়েছিল, তা পূরণের জন্যই উৎপাদন বাড়িয়েছে সংস্থাগুলি। এ দিন অক্টোবরের হারও ০.৪% থেকে সংশোধন করে ০.৫% করেছে কেন্দ্র।
সরকারি তথ্য অনুসারে, নভেম্বরে দেশে উৎপাদন শিল্পে বৃদ্ধি ৮%। গত বছর ছিল ৫.৫%। এই ক্ষেত্রের অন্তর্গত ২৩টি শিল্পের মধ্যে ২০টিরই উৎপাদন বেড়েছে। উল্লেখযোগ্য ধাতু ও তা থেকে তৈরি পণ্য, গাড়ি, ওষুধ ইত্যাদি। ১০.৩% বেড়েছে দীর্ঘ মেয়াদি ভোগ্যপণ্য উৎপাদনও। স্বল্পমেয়াদির ০.৬% থেকে ৭.৩%। অন্যান্য পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত মূলধনী পণ্যের উৎপাদনও ১০.৪% বেড়েছে। খননে বৃদ্ধি ৫.৪%। কিন্তু বিদ্যুতের উৎপাদন সরাসরি কমেছে ১.৫%। যা ২০২৪ সালের নভেম্বরে বেড়েছিল ৪.৪%।
মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রার মুখ্য অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ারের মতে, আমেরিকার শুল্কের জের কিছু পণ্যের উৎপাদনে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে জিএসটি কমার পুরো সুবিধা হয়তো মিলবে না। তবে চলতি মাসে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তা শিল্পবৃদ্ধিতে গতি আনতে সাহায্য করবে। ডিসেম্বরে তার হার হতে পারে ৩.৫%-৫%।