Money Mistakes

মোটা বেতন সত্ত্বেও বছরের শেষে সঞ্চয় শূন্য! কোন কোন ভুলে ধ্বংস হচ্ছে আয়ের টাকা? কী ভাবে সংশোধন সম্ভব?

মোটা বেতন সত্ত্বেও বছরের শেষে টাকা জমাতে পারছেন না আমজনতার অনেকেই। আর্থিক সঙ্কটের জন্য সাধারণ মানুষের বেশ কয়েকটি ভুলকে চিহ্নিত করেছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা। আনন্দবাজার ডট কম-এর এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিস।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৫ ১৪:৪৮
Representative Picture

— প্রতীকী ছবি।

কৃত্রিম মেধার (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই) দাপটে কর্মক্ষেত্রে দিন দিন বাড়ছে অনিশ্চয়তা। গুগ্‌ল, মাইক্রোসফ্‌ট, অ্যাপ্‌ল বা অ্যামাজ়নের মতো বহুজাতিক মার্কিন টেক জায়ান্টগুলিতে শুরু হয়েছে গণহারে ছাঁটাই। অন্য দিকে ‘গোদের উপর বিষফোড়ার’ মতো বৃদ্ধি পাচ্ছে সংসার খরচ। শুধু তা-ই নয়, মাস-মাইনে লাখ টাকা হওয়া সত্ত্বেও বছরের শেষে এক পয়সা সঞ্চয় করতে ব্যর্থ হচ্ছেন অনেকেই। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে বেশ কয়েকটি ভুলের কথা বলেছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা।

Advertisement

বিশেষজ্ঞদের কথায়, আমজনতার সবচেয়ে বড় ভুল হল বিমাকে লগ্নি হিসাবে গণ্য করা। এ দেশের নিম্ন এবং মধ্যবিত্তদের মধ্যে মোটা অঙ্কের জীবন বিমা কেনার প্রবণতা রয়েছে। সেখান থেকে ভাল রিটার্ন পাওয়ার আশা করে থাকেন তাঁরা। কিন্তু অর্থনীতির নিয়মেই তা কখনও সম্ভব নয়। তবে ভবিষ্যতের সুরক্ষার জন্য মাসিক ৫০০-১০০০ টাকার বা ৫০ লক্ষ থেকে ২ কোটি টাকার মধ্যে কভারেজ় প্রদানকারী সহজ মেয়াদি বিমা কেনা যেতে পারে। বাকি টাকা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশ্লেষকেরা। ১০-২০ বছরের মেয়াদে এতে তহবিলের অঙ্ক ভাল রকমের বৃদ্ধি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

দ্বিতীয় ভুল হল বন্ধু বা আত্মীয়র জন্য ঋণের নথিতে সহ-স্বাক্ষর। এ ক্ষেত্রে ঋণগ্রহণকারী ব্যক্তি নির্ধারিত সময়ে কিস্তির টাকা দিতে না পারলে ব্যাঙ্কের নিয়ম অনুযায়ী নেতিবাচক হতে শুরু করবে সহ-স্বাক্ষরকারীর ক্রেডিট স্কোর। ফলে ভবিষ্যতে তাঁর ঋণ পাওয়া কঠিন হতে পারে। শুধু তা-ই নয়, ক্রেডিট স্কোর খারাপ হওয়ার কারণে সুদের হার চড়া হওয়ার আশঙ্কাও প্রবল।

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীদের মধ্যে আবার ন্যূনতম বকেয়া পরিশোধ না করার প্রবণতা রয়েছে। এটা এতটাই বিপজ্জনক যে এর জন্য বড় ধরনের আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। কারণ এই ধরনের ক্ষেত্রে ৩৬-৪০ শতাংশ পর্যন্ত সুদ ধার্য করে থাকে ব্যাঙ্ক। ফলে ৫০ হাজার টাকা বিলে দু’বছরের মধ্যে এক লক্ষের বেশি টাকা দিতে হতে পারে ওই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীকে।

ভবিষ্যৎ সুরক্ষার কথা ভেবে অনেকে আবার না বুঝে বা ভুল জায়গায় লগ্নি করে ফেলেন। সেটা ক্রিপ্টো মুদ্রা, এনএফটি বা বন্ধুর সুপারিশ করা কোনও প্রকল্পও হতে পারে। এতে প্রত্যাশা মতো রিটার্ন পাওয়া দূরে থাক, উল্টে ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে বিনিয়োগ। তা ছাড়া বিলাসবহুল গাড়ি বা সামগ্রীর জন্য বিপুল খরচ আর্থিক সঙ্কট ডেকে আনতে পারে।

Advertisement
আরও পড়ুন