SIP Crorepati Scheme

১০ বছরে কোটিপতি! এই প্রকল্পে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিলে লেগে যেতে পারে জ্যাকপট!

মিউচুয়াল ফান্ডের এসআইপি বা ‘সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান’-এ মাসে মাসে রয়েছে টাকা জমানোর সুযোগ। এতে কম করে বার্ষিক ১২ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া গেলেও ১০ বছরে কোটিপতি হতে পারেন লগ্নিকারী।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৫ ১৪:২৪
Representative Picture

প্রতীকী ছবি।

মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নিতে কোটিপতি হওয়ার সুযোগ। কিন্তু, এর জন্য প্রতি মাসে কত টাকা বিনিয়োগ করতে হবে? কোটিতে পৌঁছোতে লাগবে ক’দিন? এ ব্যাপারে আমজনতার অনেকেরই ধারণা তেমন স্পষ্ট নয়। আর তাই আনন্দবাজার ডট কমের এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হল ওই ধরনের লগ্নির হিসেব-নিকেশ।

Advertisement

মিউচুয়াল ফান্ডে দু’ভাবে বিনিয়োগ করা যায়। একটিকে বলে ‘লাম্পসাম’ লগ্নি। অপরটির নাম ‘সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান’ বা এসআইপি। লাম্পসামের ক্ষেত্রে গ্রাহককে একবারে টাকা দিতে হয়। অর্থের পরিমাণ থাকে অনেকটা বেশি। অন্য দিকে এসআইপি কিছুটা ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসের রেকারিং ডিপোজ়িটের মতো। এ ক্ষেত্রে প্রতি মাসে একটি সুনির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সংশ্লিষ্ট তহবিলে জমা করলেই চলে।

আর্থিক বিশ্লেষকদের দাবি, দু’টি বিনিয়োগের ক্ষেত্রেই কোটিপতি হওয়ার সুযোগ রয়েছে গ্রাহকের। তবে লাম্পসাম লগ্নিতে ঝুঁকি বেশি। তাই মধ্যবিত্তদের মধ্যে এসআইপি বেছে নেওয়ার প্রবণতা বেশি রয়েছে। এতে বর্তমান আর্থিক অবস্থা বজায় থাকলে অন্তত ১২ শতাংশ সুদ পাবেন বিনিয়োগকারী। তবে বাজার অর্থনীতি আরও ভাল হলে, এর চেয়ে বেশি ফেরত পেতে পারেন তিনি।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, ১২ শতাংশ সুদে এসআইপির কোনও লগ্নিকারীকে ১০ বছরের মধ্যে কোটিপতি হতে হলে তাঁকে প্রতি মাসে অন্তত ৪৩,৫০০ টাকা করে বিনিয়োগ করতে হবে। এতে তাঁর মোট লগ্নির পরিমাণ দাঁড়াবে ৫২.২ লক্ষ টাকা। এর উপর সুদ বাবদ প্রায় ৪৯ লক্ষ টাকা পাবেন তিনি। অর্থাৎ সুদেমূলে অঙ্কটা দাঁড়াবে ১.০১ কোটি।

মাসে ৪৩ হাজার ৫০০ টাকা করে দিতে না পারলে লগ্নিকারীরা ‘সেট-আপ এসআইপি’ বিকল্পটি বেছে নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা করে বিনিয়োগ করবেন তিনি। তবে এ ক্ষেত্রে ঝুঁকি কিছুটা বেশি।

(বিশেষ দ্রষ্টব্য: মিউচুয়াল ফান্ড এবং এসআইপিতে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকিসাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই এই ধরনের তহবিলে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার অনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)

Advertisement
আরও পড়ুন