Migration for jobs

পুরনো স্কুলে ফেরার অনুমোদন নেননি ১০৭ চাকরিহারা! ফের সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানাচ্ছেন প্রতিনিধিরা

এখন‌ও পর্যন্ত তিন দফায় ১৬৬, ১৮২ ও ৬০ জন চাকরিপ্রার্থীকে পুরন‌ো চাকরিতে ফেরার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ মিলিয়ে পুরনো চাকরিতে ফেরার আবেদন করেছিলেন মোট ৫৪৮ জন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:৩০
প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

২০১৬ এসএসসি বাতিল হওয়ার পর চাকরিহারাদের পুরনো চাকরিতে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ধাপে ধাপে নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে অনুমোদন পত্র দিচ্ছে, স্কুল সার্ভিস কমিশন। এখন‌ও পর্যন্ত তিন দফায় ১৬৬, ১৮২ ও ৬০ জন চাকরিপ্রার্থীকে পুরন‌ো চাকরিতে ফেরার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ মিলিয়ে পুরনো চাকরিতে ফেরার আবেদন করেছিলেন মোট ৫৪৮ জন।

Advertisement

শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, স্কুল সার্ভিস কমিশনের অনুমোদনের পর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ পত্র দিয়েছে। ‌কিন্তু তার পরেও দেখা যাচ্ছে, পুরন‌ো চাকরিতে ফিরতে চাওয়া ১০৭ জন চাকরিপ্রার্থী অনুমোদনপত্র গ্রহণ করেনি।

স্কুল সার্ভিস কমিশন-এর (এসএসসি) তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গত ২২ নভেম্বর ফের তাঁদের অনুমোদন পত্র নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কেন তাঁরা পুরনো চাকরিতে ফেরার অনুমোদন পত্র নিলেন না?

চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশের দাবি, পুরনো যে স্কুলে ফেরানো হচ্ছে, সেই স্কুল তাঁদের বর্তমান বাসস্থান থেকে ১০০ কিলোমিটার বা তারও বেশি দূরে। ২০১৬-এর আগে তাঁরা যে জেলায় চাকরি করতেন, সেখানেই ফিরে যেতে হবে। চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষিকা সঙ্গীতা সাহা বলেন, “আমরা ‘যোগ্য’রা প্রত্যেকেই পরীক্ষায় বসেছি। অনেকে ইতিমধ্যে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে ডাক পেয়েছেন। নবম-দশম এর ফলপ্রকাশ এখনও হয়নি। এখানে যদি বাড়ির কাছে কোনও স্কুলে সুযোগ পান, তা হলে দূরবর্তী স্কুল যাবেন না। তাই হয়তো অনেকে এখন‌ও অনুমোদন পত্র গ্রহণ করেনি। আমিও নিজে পুরন‌ো চাকরিতে ফেরার জন্য আবেদন করেছি।”

অন্য দিকে ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ৬ জনের প্রতিনিধি দল দিল্লি যাচ্ছে শুক্রবার। সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন বাতিল হওয়ার পর এ বার কিউরেটিভ পিটিশন দাখিল করতে চান তাঁরা। চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের নেতা চিন্ময় মণ্ডল বলেন, “সরকার ‘অযোগ্য’দের তালিকা ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছে। তাঁরা কেউ পরীক্ষায় বসেননি। যখন ‘যোগ্য’ এবং ‘অযোগ্য’ পৃথকীকরণ সম্ভব হয়েছে। তা হলে ‘যোগ্য’রা কেন তাঁদের ২০১৬-র চাকরি ফিরে পাবে না?”

উল্লেখ্য, ভারতীয় সংবিধানের ১৩৭ নম্বর ধারা নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। চূড়ান্ত রায়ের পর রিভিউ পিটিশন বাতিল হলে, কিউরেটিভ পিটিশন করা যায়। বলে জানাচ্ছে চাকরিহারাদের একাংশ।

Advertisement
আরও পড়ুন