নিজস্ব চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল পদে নিযুক্ত হয়েই আচার্য হিসাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এসেছিলেন সিভি আনন্দ বোস, তখন ২০২২। তার পর কেটে গিয়েছে তিনটি বছর। আর সমাবর্তনে যোগ দেননি তিনি। বুধবার, ২০২৫ সমাবর্তনে যোগ দিয়ে যাদবপুরের জন্য সাতটি পুরস্কারের ঘোষণা করলেন তিনি। লোকভবনের তরফে ২৫ হাজার টাকা অর্থমূল্যের ওই পুরস্কার পাবেন পড়ুয়া থেকে শিক্ষক-অধ্যাপক, প্রশাসক এবং শিক্ষাকর্মীরাও।
৬৮তম সমাবর্তন মঞ্চ থেকে আচার্য বলেন, “এ বারের সমাবর্তন বৈধ বলে আমি এখানে উপস্থিত হয়েছি।” যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ স্থায়ী উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের কার্যকাল শেষ হয় ২০২২-এ। তার পরের দু’বছর অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে একাধিক বার সংঘর্ষে জড়িয়েছে রাজ্য। সে কারণেই, ২০২৩ এবং ২০২৪ সমাবর্তনকে কার্যত অবৈধ বলে দাবি করেছিলেন সিভি আনন্দ বোস। সেই অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটল এ দিন।
রাজ্যপাল এ দিন ঘোষণা করেন, প্রতি বছর গভর্নর এক্সলেন্স অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতজনকে। পুরস্কার মূল্য ২৫ হাজার টাকার সঙ্গে দেওয়া হবে শংসাপত্র। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের দু’জন সেরা ছাত্র, দু’জন সেরা ছাত্রী, সেরা শিক্ষক, সেরা শিক্ষাকর্মী এবং শ্রেষ্ঠ প্রশাসক পুরস্কার পাবেন।
তবে যাদবপুর ক্যাম্পাসে ছাত্র মৃত্যু থেকে, নানা গোলমালের প্রসঙ্গও তোলেন আচার্য। সমাবর্তন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “বাংলার প্রধান সমস্যা হল দুর্নীতি ও হিংসা। বিশ্ববিদ্যালগুলি ক্যাম্পাসগুলিও সেই প্রভাব থেকে মুক্ত নয়।”
অনুষ্ঠানের পর রাজ্যপাল উত্তর দেন অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত প্রশ্নেরও। গত অক্টোবরে কলকাতা, যাদবপুর-সহ ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হলেও, এখনও অনিশ্চিত ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ। সে প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, “আমার মনে হয়েছে, ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য উপাচার্য পদপ্রার্থী যাঁরা ছিলেন, তাঁরা উপযুক্ত নয়। আমি সুপ্রিম কোর্টকে বিষয়টি জানিয়েছি সবটা। এর পর আদালত বিচার করবে।”