প্রতীকী চিত্র।
স্থগিত করা হল প্রাথমিকের সাধারণ বদলি (জেনারেল ট্রান্সফার)। বুধবার সন্ধ্যায় স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানান হয়েছে জুন, ২০২৬ পর্যন্ত সাধারণ বদলি করা যাবে না।
এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছিল প্রাথমিকের সাধারণ বদলি। স্কুল শিক্ষা দফতরের দফতরের সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩ হাজারেরও বেশি শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। পাশাপাশি প্রায় ২৩০০ স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিকে যুক্ত করা হয়েছে। ফলে পড়ুয়া-শিক্ষক অনুপাতের হিসাব করা এবং শূন্যপদ গণনা জটিল হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে যদি সাধারণ বদলি চালু করা হয় তা হলে জটিলতা আরও বৃদ্ধি পাবে। তাই আপাতত ৩০ জুন, ২০২৬ পর্যন্ত বদলি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে ।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “২০২২-এর সেপ্টেম্বর থেকেই উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বদলি বন্ধ আছে। কয়েক হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা বদলির জন্য আবেদন করে রেখেছেন। কিন্তু তার নিষ্পত্তি হয়নি।” অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা বদলির আবেদন নিয়ে আদালতের দ্বারস্থও হয়েছেন। তাতে জটিলতা কমেনি।
উল্লেখ্য, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মিউচুয়্যাল ট্রান্সফার এবং জেনারেল ট্রান্সফার, এবং মেডিক্যাল গ্রাউন্ড ট্রান্সফার-এর যাবতীয় কাজ হয় উৎসশ্রী পোর্টাল-এর মাধ্যমে। তবে, এই পোর্টাল ২০২২ থেকে বন্ধ রয়েছে সাধারণ বদলির ক্ষেত্রে শূন্য আসনের তালিকা নিয়ে নানা জটিলতার কারণে।
সোমবারই ‘এলিমেন্টারি স্কুল এডুকেশন’ বিভাগের তরফে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পোর্টালে বদলির আবেদন নেওয়া আরও ছ’মাস বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়েছে। ওই পোর্টালও আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে। যদিও উৎসশ্রী পোর্টালে আপোস বদলি (মিউচুয়াল ট্রান্সফার) চালু রয়েছে।