প্রতীকী চিত্র।
ডিজিটাল যুগে বদলাচ্ছে চাকরির ধরন। বিশ্বজুড়েই ঘটছে এই পরিবর্তন। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে কৃত্রিম মেধার মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে। যা আগামী দিনগুলিতে আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। আর তার ফলেই আগামী ১০ বছরে পঠনপাঠন এবং কর্মক্ষেত্রের সামগ্রিক চিত্রও বদলে যাবে অনেকখানি। চাহিদা বাড়বে কিছু বিশেষ কোর্সের। যা এখনই বোঝা যাচ্ছে। এই প্রতিবেদনে সেরকম কিছু কোর্সেরই সন্ধান রইল—
১। ডেটা সায়েন্স এবং অ্যানালিটিক্স:
বর্তমানে তথ্য বা ডেটাকেই মূলধন হিসাবে বিচার করছে একাধিক বেসরকারি এবং বহুজাতিক সংস্থা। ফলে চাহিদা বাড়ছে ডেটা সায়েন্টিস্ট এবং ডেটা অ্যানালিস্টের। তাই নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চালু হয়ে গিয়েছে ডেটা সায়েন্স এবং ডেটা অ্যানালিসিস কোর্স। মূলত নানা তথ্য ঘেঁটে দেখা, তা বিশ্লেষণ করা এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার দিকগুলি কী ভাবে খতিয়ে দেখা যায়, তারই পাঠ দেওয়া হয় কোর্সগুলিতে।
২। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেশিন লার্নিং, জেনারেটিভ এআই:
কৃত্রিম মেধার ব্যবহার এখন কোনও নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের জন্য সীমিত নয়। ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে স্বাস্থ্য— সমস্ত ক্ষেত্রেই এর প্রয়োগ চোখে পড়ার মতো। মেশিন লার্নিং এবং জেনারেটিভ এআই— কৃত্রিম মেধারই একটি অংশ। চাকরিক্ষেত্রে এখন মেশিন ইঞ্জিনিয়ার এবং এআই বিশেষজ্ঞদের চাহিদা বাড়তে থাকায় বাড়ছে এই সমস্ত কোর্স পড়ার গুরুত্বও।
৩। সাইবার সুরক্ষা:
বর্তমানে টাকা লেনদেন থেকে তথ্য মজুত করা— সমস্ত কিছুর জন্যই নেট মাধ্যমই ভরসা। কিন্তু মাঝেমধ্যেই দেখা যাচ্ছে, দুষ্কৃতীরা সাইবার হানাদারি চালিয়ে সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে। খালি হয়ে যাচ্ছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। চ্যালেঞ্জের মুখে রাষ্ট্রের সুরক্ষাও। তাই কী ভাবে সাইবার মাধ্যমে সব তথ্য সুরক্ষিত রাখা যায়, তার জন্য পড়ানো হচ্ছে সাইবার সুরক্ষার কোর্স। সংস্থাগুলিতে সাইবার বিশেষজ্ঞদের চাহিদা বাড়ছে।
৪। ডিজিটাল মার্কেটিং:
এখন নিজস্ব কোনও ব্যবসায়িক উদ্যোগকে মানুষের কাছে তুলে ধরা জন্য ভরসা করতে হয় ডিজিটাল মাধ্যমের উপর। এমনকি অতিপরিচিত সংস্থাগুলিও ডিজিটাল মাধ্যমে তাদের উপস্থিতি জানান দেয়। কারণ, পণ্য বিপণনের জন্য এই মাধ্যম বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাই নানা প্রতিষ্ঠানের তরফেও পড়ানো হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্সের নানা খুঁটিনাটি।
৫। পরিবেশবিদ্যা বা পরিবেশ বিজ্ঞান:
পরিবেশ বিশেষজ্ঞেরা আগেই জানিয়েছেন, বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের হাত থেকে বাঁচতে সুস্থায়ী উন্নয়নই লক্ষ্য হওয়া উচিত। আর তাই বিশ্বের নানা দেশে শুরু হয়ে গিয়েছে পরিবেশ সংক্রান্ত নানা আলোচনা। একই সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতেও চালু হয়েছে পরিবেশ সংক্রান্ত একাধিক কোর্স।
উল্লিখিত কোর্সগুলি ছাড়াও ইউআই বা ইউএক্স ডিজ়াইন, সাপ্লাই চেন অ্যান্ড লজিস্টিক্স ম্যানেজমেন্ট, হেল্থকেয়ার টেকনোলজি, প্যারামেডিক্যাল, এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি, মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোর্সের চাহিদাও ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।