Career in Cyber Security

সাইবার প্রতারণার বিরুদ্ধে লড়তে বিশেষ পাঠ! উচ্চশিক্ষা বা চাকরির সুযোগ কোথায় কেমন?

উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যক্রমে যোগ হয়েছে সাইবার সুরক্ষার মতো বিষয়।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:৪২
প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

আন্তর্জালের দুনিয়ায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে সাইবার হানাদারি। কখনও মুঠোফোনে, কখনও কম্পিউটারের মাধ্যমে হ্যাকাররা ঢুকে পড়ছে ব্যক্তিগত পরিসরে। হাতিয়ে নিচ্ছে প্রয়োজনীয় তথ্য বা ব্যাঙ্কে জমানো টাকা। তাই সাইবার দুনিয়ায় নিজেদের সুরক্ষিত রাখার জন্য স্কুল স্তর থেকেই থেকেই চালু করা হয়েছে পাঠক্রম। উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যক্রমে যোগ হয়েছে সাইবার সুরক্ষার মতো বিষয়। এই বিষয়ে উচ্চশিক্ষারও সুযোগ মেলে।

Advertisement

সাইবার সুরক্ষার কোন কোন কোর্স পড়ানো হয় দেশে?

দেশের প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে স্নাতক স্তরে পড়ানো হয় সাইবার সুরক্ষা বিষয়টি। কোনও কোনও ক্ষেত্রে সরাসরি সংশ্লিষ্ট বিষয়ের কোর্স করা যায়। আবার কোথাও স্পেশ্যালাইজ়েশন-এর বিষয় হিসাবে বেছে নেওয়া যায় সাইবার সুরক্ষা বিষয়কে।

স্নাতকে নানা কোর্স করা সম্ভব -

১। বিটেক ইন কম্পিউটার সায়েন্স কোর্সে স্পেশালইজেশন করা যায় সাইবার সুরক্ষায়।

২। বিটেক ইন সাইবার সিকিয়োরিটি।

৩। বিএসসি ইন সাইবার সিকিউরিটি বা ডিজিটাল ফরেমসিক্স।

৪। বিসিএ উইথ সাইবার সিকিউরিটি স্পেশ্যালাইজ়েশন।

আবার স্নাতকোত্তরেও একাধিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার সুরক্ষার কোর্স করানো হয়। কখনও সেগুলি ডিগ্রি কোর্স, আবার কখনও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা কোর্স। যেমন,

১। এমটেক ইন সাইবার সিকিয়োরিটি

২। এমএসসি ইন সাইবার সিকিয়োরিটি

৩। পিজি ডিপ্লোমা ইন সাইবার সিকিয়োরিটি

এ ছাড়াও অনলাইন বা অফলাইনে নানা ধরনের স্বল্পমেয়াদি বা দীর্ঘমেয়াদি সার্টিফিকেট কোর্স করা যায় এই বিষয়ে।

প্রবেশিকা পরীক্ষা

সাধারণত আইআইটি বা এনআইটি-তে ভর্তির জন্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগ্‌জ়ামিনেশন মেন (জেইই মেন) বা জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগ্‌জ়ামিনেশন অ্যাডভান্সড (জেইই অ্যাডভান্সড)-এ প্রাপ্ত নম্বরকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এমটেক-এ ভর্তি নেওয়া হয় গেট-এ প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে। আবার কিছু কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে কমন ইউনিভার্সিটি এনট্রান্স টেস্ট বা কুয়েট-এ প্রাপ্ত নম্বরকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।

দেশ এবং রাজ্যের কোন কোন প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ

১। আইআইটি দিল্লি

২। আইআইটি মাদ্রাজ

৩। আইআইটি কানপুর

৪। ন্যাশনাল ফরেন্সিক সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটি

৫। আইআইআইটি হায়দরাবাদ

৬। আইআইআইটি কল্যাণী

৭। আইআইআইটি বেঙ্গালুরু

৮। আইআইআইটি এলাহাবাদ

৯। এনআইইএলআইটি কলকাতা

১০। ওয়েস্ট বেঙ্গল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ জুরিডিক্যাল সায়েন্সেস।

১১। মৌলানা আবুল কালাম আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়।

১২। আইআইটি খড়্গপুর।

চাকরির সুযোগ

কোর্স শেষে ভারতের প্রতিরিক্ষা গবেষণা এবং উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান, ইসরো, নানা ব্যাঙ্ক অথবা বিভিন্ন বেসরকারি বহুজাতিক সংস্থায় চাকরির সুযোগ মেলে। কাজ করা যায় এথিক্যাল হ্যাকার, সাইবার ফরেন্সিক অ্যানালিস্ট, সিকিউরিটি কনসালট্যান্ট বা নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে।

Advertisement
আরও পড়ুন