প্রতীকী চিত্র।
১৪ জুলাই নবান্ন অভিযানে ‘যোগ্য’ শিক্ষকরা। 'যোগ্য' এবং 'অযোগ্য'-দের তালিকা প্রকাশ ও রিভিউ পিটিশনের মাধ্যমে হারানো চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে এ বার নবান্নের পথে চাকরিহারারা।
সপ্তাহের প্রথম দিন সোমবার হাওড়া স্টেশনে সকাল সাড়ে ১১টায় জমায়েত ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষকাদের। তারপর সেখান থেকে মিছিল করে তাদের যাওয়ার কথা নবান্নে। ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষা কর্মীর আন্দোলনের অন্যতম নেতা মেহবুব মণ্ডল বলেন, "আমরা 'যোগ্য'এবং নিরাপরাধ হওয়ার পরেও মৃত্যু যন্ত্রণা ভোগ করছি। এই যন্ত্রণার সূত্রপাত সরকার করেছে এর শেষ ও সরকারকেই করতে হবে। যে কোনও মূল্যে আমাদের হকের চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে।"
প্রথমে বিকাশ ভবন এবং তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে সেন্ট্রাল পার্কের সামনে টানা ৬৮ দিন ধরে অবস্থান চালাচ্ছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। এর মধ্যে ২১ দিন ধরে অনশনও করেন ‘যোগ্য’ শিক্ষক শিক্ষিকারা। এরপর চাকরিহারারা অনশন আন্দোলন প্রত্যাহার করলেও নবান্ন অভিযান ও দিল্লি চলো ডাক দেন।
সোমবার নবান্ন অভিযান এবং পরের সপ্তাহে দিল্লিতে পর পর তিন দিন মহা আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। এর মাধ্যমে সমাজের বৃহত্তর অংশের কাছে তাঁদের দাবির কথা তুলে ধরতে চান। বর্তমানে যে 'প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি'র শিকার হয়েছেন তাঁরা, তা দেশের মানুষকে জানাতে চান।
অন্যতম নেতা এই আন্দোলনের চিন্ময় মণ্ডল বলেন, "আমি আগামিকাল নবান্ন অভিযানে স্নান করে যাব না। স্নানের জন্য জল কামানের ব্যবস্থা করেছে শুনলাম। সত্যিই মানবিক সরকার হয় সঙ্গে খাবার হিসেবে 'যোগ্য' 'অযোগ্য'- দের তালিকা এবং ওএমআরগুলিও দেবেন।"
দেশের শীর্ষ আদালতের সাম্প্রতিক রায়ে ২০১৬ সালের এসএসসি-র গোটা প্যানেল বাতিল হওয়ায় এক দিকে যেমন ২৫৭৫৩ জন শিক্ষক এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের জীবনে চরম আঁধার নেমে এসেছে, তেমনই রাজ্যের গোটা শিক্ষাব্যবস্থাও গভীর সঙ্কটে পড়েছে। এর থেকে মুক্তি পেতেই আমরা মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করে কথা বলতে এবং এর সমাধান চাই।" চাকরিহারারা জানাচ্ছেন, তাঁরা শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল করবেন। সরকার যদি তাঁদের দাবি মেনে দেখা না করেন এবং বলপূর্বক মিছিল আটকাবার চেষ্টা করে তাহলে তাঁরা বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।