প্রতীকী চিত্র।
রাজারহাটের সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সপ্তম সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজিত হলে ২০২৬-এর ২১ ফেব্রুয়ারি। এই অনুষ্ঠানে ডিলিট দেওয়া হবে শশী তরুরকে।
বছর সত্তরের শশী ২০০৯ সাল থেকেই কংগ্রেসের সাংসদ। লন্ডনে জন্ম হলেও তাঁর বেড়ে ওঠা মুম্বইয়ে। কলকাতার সঙ্গেও নিবিড় যোগ। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত শশী পড়াশোনা করেছেন সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজিয়েট স্কুলে। এখনও তাঁর সাহিত্য প্রতিভার ছোঁয়াও মাঝে মধ্যে এসে লাগে কলকাতায়। আদতে কেরলের বাসিন্দা শশী ২০০৯ সালেই প্রথমবার নির্বাচনে যোগ দেন। কংগ্রেসের টিকিটে তিনি জয়ী হন তিরুবনন্তপুরম আসন থেকে।
এ বার তাঁকেই বিশেষ সম্মানে ভূষিত করছে সেন্ট জ়েভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী ফেব্রুয়ারিতে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্ত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে। ১,০৫০ জন পড়ুয়াকে ডিগ্রি দেওয়া হবে। এর মধ্যে ২৪ জন পিএইচডি গবেষক রয়েছেন। ২০১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় শুরু হওয়ার সময় পড়ুয়া সংখ্যা ছিল ৪০০, বর্তমানে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩০০। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় ২০টি পাঠ্যক্রম পড়ানো হয়।
শুধু তাই নয় সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় দ্রুত চালু করতে চলেছে নার্সিং স্কুল। তার পর মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ১০ একর জমি চাওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তবে, তার উত্তর এখনও আসেনি বলে জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে।
উপাচার্য জন ফেলিক্স রাজ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফ থেকে সাত বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় আমরা প্রস্তুত ছিলাম না। এখন দেখেছি আমাদের রাজ্যের বহু ছাত্রী নার্সিং-র প্রশিক্ষণের তামিলনাড়ু, কর্নাটকে চলে যাচ্ছেন। এখানে একটি ভাল নার্সিং স্কুল চালু হলে পড়ুয়ারা রাজ্যে থেকেই পড়াশোনা করতে পারবেন।”
মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধেই তাঁরা মেডিক্যাল কলেজ চালু করবেন বলেও জানিয়েছেন উপাচার্য। এ বিষয়ে সেন্ট জেভিয়ার্সের প্রাক্তনী চিকিৎসকেরাও উৎসাহ দিচ্ছেন। তবে প্রয়োজনীয় অর্থ এবং জমির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছেই অনুরোধ করা হবে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। সব ঠিক থাকলে আগামী দু’বছরেই মেডিক্যাল কলেজ চালু হয়ে যাবে বলে আশাবাদী তাঁরা।