প্রতীকী চিত্র।
আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে আরও কমে যাচ্ছে গ্রীষ্মের ছুটি। তা নিয়েই নতুন করে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
২০২৬ সালের ছুটির বার্ষিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, গরমের ছুটি গত বছরের তুলনায় ৫ দিন কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন গ্রীষ্মের ছুটিতে কাঁচি চলল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন শিক্ষক মহলে।
শিক্ষক মহলে একাংশের অভিযোগ, গ্রীষ্মপ্রধান এই রাজ্যে গরমের ছুটি কমিয়ে দেওয়া অবাস্তব পরিকল্পনা। গত কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে তাপপ্রবাহ বা মাত্রাতিরিক্ত গরমের কারণে স্কুলের গ্রীষ্মাবকাশ সময়ের আগে দিতে হয়েছে। কখনও কখনও এই ছুটি রাখতে হয়েছে ২৫-৩০ দিন।
কিন্তু আগামী বছরের জন্য পর্ষদ যে ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে গরমের ছুটি ১১ মে থেকে ১৬ মে ২০২৬ পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। চলতি বছর এই ছুটি দেওয়া হয়েছিল ১২ মে থেকে ২৩ মে ২০২৬ পর্যন্ত।
এ প্রসঙ্গে নারায়ণদাস বাঙ্গুর স্কুলে প্রধানশিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া বলেন, “যে হেতু সরকারি ভাবে অতিরিক্ত গরমের ছুটি পাওয়া যাচ্ছে, তাই পর্ষদের কাছে এই ছুটি গুরুত্ব কমছে। এ বছর ১১ দিন ছুটি ছিল, আগামী বছর ৬ দিন।” যদিও শিক্ষক সংগঠনগুলির বক্তব্য, ছুটির যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তা অবিবেচনাপ্রসূত। কারণ, তালিকায় অনুযায়ী যখন গ্রীষ্মের ছুটি শেষ হচ্ছে, তখনই আসলে তাপপ্রবাহ বা়ড়তে শুরু করবে। তাই পরিকল্পনাহীন এই ছুটি ঘোষণা।
শিক্ষকদের একাংশ দাবি করেছেন, গত কয়েক বছরে বেশ কিছু ছুটি নতুন করে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এমনকি পালনীয় দিনগুলিকেও ছুটি চিহ্নিত করা হয়েছে। যেমন, রবীন্দ্র জয়ন্তীতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ সেই দিনটি প্রত্যেকটি বিদ্যালয় মর্যাদার সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। কিছু ছুটি একদিন আগে ঘোষণা করা হয়েছে যা আগে ছিল না।
আবার, অনেকেই সওয়াল করেছেন আগের মতো বেশি ছুটি রাখার পক্ষে। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “আগে সারা বছরে ৮০ দিন ছুটি দেওয়া হতো স্কুলগুলিতে। এই ছুটি ফিরিয়ে আনা হোক। তা হলে পঠনপাঠনের অসুবিধা হবে না। অতিরিক্ত গরমে ও ছুটি দেওয়া যাবে।”