SSC Teacher's Protest 2025

আন্দোলনের শুরুতে ছিলেন ‘সরকারের পক্ষে’, আচার্য ভবন অভিযান সেই ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের

বুধবার করুণাময়ী থেকে আচার্য সদন পর্যন্ত মিছিল করেন সরকারপন্থী চাকরিহারাদের এই সংগঠন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৫ ২০:১৩
WBUTA

ডব্লিউবিইউটিএ-র মিছিল। ছবি: সংগৃহীত।

চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী আন্দোলনের একেবারে শুরুর দিকে তাঁরা ছিলেন সরকারের পক্ষে। দাবি করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এ বার তাঁরাই রাজপথে। অন্য শিক্ষক সংগঠনগুলির মতোই একাধিক দাবি নিয়ে বুধবার আচার্য সদন অভিযান করলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল আনটেন্টেড টিচার্স এসোসিয়েশন (ডব্লিউবিইউটিএ)-এর সদস্যরা।

Advertisement

বুধবার করুণাময়ী থেকে আচার্য সদন পর্যন্ত মিছিল করেন 'সরকারপন্থী' চাকরিহারাদের এই সংগঠন। ২০১৬ সালের এসএলএসটিতে বৈধ সময়সীমার মধ্যে নিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীরা এ দিন ডেপুটেশনও জমা দিন। চাকরিহারা বাকি শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী সংগঠনগুলির মতো তাঁরাও স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে একই দাবি জানাতে চান। তাঁরা আর নতুন করে নিয়োগের পরীক্ষায় বসবেন না। যে সমস্ত দাবি নিয়ে তাঁরা আজ শান্তিপূর্ণ মিছিল ও ডেপুটেশনের কর্মসূচি রেখেছিলেন, সেগুলি হল—

১) সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে ‘যোগ্য’ এবং ‘অযোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীদের তালিকা হলফনামা আকারে অবিলম্বে জমা দিতে হবে।

২) বৈধ সময়সীমার মধ্যে নিযুক্ত সমস্ত ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের নামের তালিকা যে সঠিক তা জানিয়ে দ্রুত এসএসসি-র ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।

৩) শীর্ষ আদালতের রায়ের ৪৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ‘অযোগ্য’-দের শীঘ্রই বরখাস্ত করতে হবে।

৪) বৈধ শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে।

৫) রিভিউ পিটিশনের আগে তাঁরা কোনও পরীক্ষা দেবেন না।

'সরকারপন্থী' চাকরিহারাদের এই মিছিলের পর অনেকের প্রশ্ন, তা হলে কি তাঁদের সঙ্গে সরকারের দূরত্ব বাড়ছে? সেই প্রশ্ন নস্যাৎ করে ডব্লিউবিইউটিএ-র প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, তাঁরা কখনওই সরকারের সঙ্গে ছিলেন না। তাঁরা নিজেরাই বঞ্চিত। তাই ন্যায্য দাবি নিয়েই রাজপথে আন্দোলনে নেমেছেন।

ডব্লিউবিইউটিএ-এর অন্যতম নেতা মৃন্ময় মণ্ডল বলেন, “সোমবার এসএসসি-এর তরফে ‘যোগ্য’ ‘অযোগ্য’-দের তালিকা প্রকাশের কথা ছিল। কিন্তু এখনও সেই তালিকা সর্বসমক্ষে আনেননি এসএসসি চেয়ারম্যান। এখনও তাঁরা আইনি পরামর্শ নেওয়ার কথা বলে চলেছেন। আমরা চাই যত ওই তালিকা প্রকাশ করা হোক।”

উল্লেখ্য, আন্দোলনের শুরুর দিকে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু দাবি করেছিলেন, চাকরিহারা শিক্ষকদের একটি অংশ তাঁদের সমর্থন করছে। প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা সরকারের আইনি পদক্ষেপের পাশে রয়েছে। এর জন্য শিক্ষক সংগঠন ডব্লিউবিইউটিএ-র একটি চিঠিও সাংবাদিক বৈঠকে প্রকাশ্যে আনা হয়।

Advertisement
আরও পড়ুন