প্রতীকী চিত্র।
আগেই প্রকাশিত হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি। সূত্রের খবর, ১৩,৪২১টি শূন্যপদে নিয়োগের প্রথম পর্যায়ে ইন্টারভিউ শুরু হবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে। জাল নথি দিয়ে চাকরি পাওয়ার রুখতে, তিন দফায় নথি যাচাই করা হবে পর্ষদের তরফে। সমস্ত প্রক্রিয়ায় থাকবে ভিডিয়োগ্রাফি-র ব্যবস্থা।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর এই ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, “বছর শেষে শুধু ইংরাজি মাধ্যম প্রাথমিক স্কুলের নিয়োগের ইন্টারভিউ হবে। বাকি স্কুলগুলির জন্য নতুন বছর শুরু থেকেই ধাপে ধাপে ইন্টারভিউ নেওয়া হবে।”
ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা রাখতে নজরদারি ক্যামেরার মাধ্যমে রেকর্ড করা হবে গোটা প্রক্রিয়াটি। একই দিনে তথ্য যাচাই ও ইন্টারভিউ হবে প্রার্থীদের। ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫-এ ইংরেজি বিভাগের নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে। মোট ১৩৫ জন প্রার্থীকে ডাকা হয়েছে।
জেলাভিত্তিক বা আঞ্চলিক ভাবে নয়, নথি যাচাই থেকে ইন্টারভিউ সমস্তটাই হবে কেন্দ্রীয় ভাবে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এক কর্তা বলেন, “নথি যাচাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে সমস্ত আবেদন নেওয়া হচ্ছে অনলাইনে। সেখানে অনেক সময় ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছে আবেদনকারীদের তরফে। তাই তথ্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
ইন্টারভিউ ও তথ্য যাচাই জন্য আলাদা আলাদা করে পাঁচটি টেবলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রতি টেবলে তিনজন বিশেষজ্ঞ থাকছেন। ইন্টারভিউ বোর্ডে কোন বিশেষজ্ঞ কোন প্রার্থীকে কত নম্বর দিলেন, তা পরস্পরকে জানাতে পারবেন না। সরাসরি সার্ভারের মাধ্যমে তা আপলোড করা হবে। মৌখিক ইন্টারভিউ ছাড়াও, একজন প্রার্থী কী ভাবে শ্রেণিকক্ষে পড়াবেন তা-ও দেখাতে হবে। সমস্ত ভিডিয়ো রেকর্ডিং সংরক্ষণ রাখা হবে পর্ষদের কাছে।
উল্লেখ্য, ২০২২-এ শেষ বার প্রাথমিক নিয়োগ হয়েছিল। সেখানে যোগ দিয়েছিলেন ২০১৪ ও ২০১৭-এর টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা। ২০২২ ও ২০২৩-এর টেট উত্তীর্ণ এবং ডিএলএড প্রশিক্ষিত প্রার্থীরা এত দিন কোনও নিয়োগে সুযোগই পাননি।