কঙ্গনা রানাউতের কি প্রকৃত নারী হয়ে ওঠাই লক্ষ্য? ছবি: ফেসবুক।
তাঁকে বলিউড ‘লৌহমানবী’ বলে। তাঁর মানসিক দৃঢ়তা, প্রত্যেক মুহূর্তের লড়াই, অন্যায়ের প্রতিবাদ, স্পষ্টবাদিতা তাঁকে এই তকমা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সেই কঙ্গনা রনৌত দেশের সমস্ত নারীর প্রতি বিশেষ বার্তা দিলেন। এ দিনও তিনি নারীশক্তির জয়গান করেছেন। যেন একটু ভিন্ন সুরে। তাঁর মতে, একজন নারীর প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য পুরুষ বা নারী নন, তিনি নিজেই। কঙ্গনার বার্তা, “নারী হিসেবে আপনার মধ্যে অনেক ভাল গুণ রয়েছে। সে গুলো খুঁজে বার করুন, তার প্রকাশ ঘটান। তবেই আপনি সার্থক নারী।”
এ দিন কঙ্গনা যেন তাঁর চেনা রূপের বাইরে! মানসিক ভাবে অবশ্যই আরও শক্তিশালী, সুসংহত। কিন্তু বার্তায় যেন নম্রতার প্রলেপ। বিশেষ দিনে সাংসদ-অভিনেত্রীর ভাষাও যেন কিঞ্চিৎ নরম! তিনি বলেছেন, “আরও বেশি দয়ালু হোন। আপনার কথায়, আচরণে যেন আরও বেশি করে ভালবাসা ঝরে পড়ে। কারণ, পৃথিবীর সমস্ত প্রাণী নারীর ভালবাসা, দয়া, মায়া পাওয়ার অপেক্ষায় থাকে। এই কারণেই একজন শিশুর মাকে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।” তিনি নিজেও এই প্রয়োজন অনুভব করেছেন প্রতি মুহূর্তে। তাই তাঁর কাছে ‘দেবী’ আর ‘মা’ সমার্থক। তিনি নারীর মধ্যে ‘দেবী’ রূপ দেখতে পান। তাঁর চোখে নারীশক্তিই প্রকৃত দৈবশক্তি।
এই জন্য কঙ্গনা নারীর মধ্যে আরও পেলবতা, আরও মায়া, আরও বেশি করে ‘নারীত্ব’ দেখার পক্ষপাতী। তাঁর যুক্তি, নিজেকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে নারীর ‘পুরুষালি’ হওয়ার দরকার নেই। প্রকৃতি নারীর মধ্যে নানা গুণ জন্ম থেকেই সাজিয়ে দেয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই সব গুণের যথাযথ প্রকাশ ঘটলেই নারী ‘সম্পূর্ণা’। ইতিমধ্যে পরিচালক-অভিনেত্রীর এই বার্তা সমাজমাধ্যমে ভাইরাল। এই প্রজন্ম কঙ্গনার বক্তব্যকে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে শুভেচ্ছা জানিয়েছে।