Angad Bedi

‘দুর্ভাগ্য যে পাগড়ি খুলে ফেলতে হয়’, যার ফলস্বরূপ কোন কষ্ট পেতে হয় নেহার স্বামী অঙ্গদকে?

অভিনেতা হওয়ার জন্য বাবাকে কষ্ট দিয়েছেন অঙ্গদ। এমন কিছু কাণ্ড ঘটনা, যে কারণে তাঁর সঙ্গে ১২ বছর কথা বলেননি বিষেণ সিংহ বেদী। যদিও বর্তমানে সেই আক্ষেপ বয়ে বেড়াচ্ছেন অঙ্গদ।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ ২০:৫১
Angad Bedi reveals he has to sacrifice his turban due to this reason

অঙ্গদ বেদী এবং নেহা ধুপিয়া। ছবি: সংগৃহীত।

বলিউডে অভিনেতা হিসাবে নিজের একটি স্বতন্ত্র পরিচিত তৈরি করেছেন অঙ্গদ বেদী। তবে এই পরিচয়ের পাশপাশি আরও একটি পরিচয় রয়েছে তাঁর। তিনি প্রয়াত ক্রিকেটতারকা বিষেণ সিংহ বেদীর ছেলে। ২০২৩ সালের ২৩ অক্টোবর প্রয়াত হয়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক। তবে অভিনেতা হওয়ার জন্য বাবাকে কষ্ট দিয়েছেন অঙ্গদ। তবে এমন কিছু কাণ্ড ঘটান অঙ্গদ, যে কারণে তাঁর সঙ্গে ১২ বছর কথা বলেননি তাঁর বাবা। যদিও বর্তমানে সেই নিয়ে আক্ষেপ রয়েছে অঙ্গদের।

Advertisement

অভিনয় তাঁর প্রাথমিক পেশা হলেও খেলাধুলার ক্ষেত্রে বেশ সক্রিয় অঙ্গদ। অভিনয় করেছেন ‘সুরমা’, ‘দ্য জ়োয়া ফ্যাক্টর’, ‘গুঞ্জন সাক্সেনা: দ্য কার্গিল গার্ল’-এর মতো ছবিতে। বরাবরই খেলাধূলার দিকে ঝোঁক তাঁর। অভিনয়ের পাশাপাশি যে খেলাধূলাও চালিয়ে যেতে চান তিনি, তা একাধিক বার নিজের সাক্ষাৎকারে বলেছেন অঙ্গদ। কিন্তু একটা সময় অভিনেতা হওয়ার ইচ্ছে যেন মাথায় চেপে বসে। যে কারণে নিজের লম্বা চুল কেটে ফেলেন, পাগড়ি পরা ছেড়ে দেন। তাতেই আহত হন অঙ্গদের বাবা।

অভিনেতা বলেন, ‘‘মানুষের রাগ হলে চিৎকার করে। কিন্তু ভিতর থেকে আহত হলে চুপ করে যায়। আমার বাবা খুব দুঃখ পান, যখন চুল কেটে ফেলে, পাগড়ি ত্যাগ করি।’’ যদিও এখন দিলজিৎ দোসাঞ্জ কিন্তু পাগড়ি পরেই ছবিতে অভিনয় করেছেন। সেই প্রসঙ্গেই আক্ষেপের সুরে অঙ্গদ বলেন, ‘‘আমার দুর্ভাগ্য যে আমাকে পাগড়ি ছাড়তে হয়। আসলে তখন যত অডিশন দিয়েছি, সকলে বলেছেন পাগড়ি পরা চরিত্র দরকার নেই। তাই একদিন চুল কেটে ফেলি। আমার তখন ২২ বছর বয়স। তার পরে ৩৪-এ পা দেওয়ার পর ফের বাবা কথা বলেন।’’ অঙ্গদ জানান, তাঁর বাবার অভিমান ভাঙে তাঁকে ‘পিঙ্ক’ ছবিতে দেখার পরে।

Advertisement
আরও পড়ুন