সোনাক্ষী ও জ়াহিরের বাড়ি নাকি অবাক করা! ছবি: সংগৃহীত।
সোনাক্ষী সিন্হা ও জ়াহির ইকবালের বাড়ি দেখে চক্ষু চড়কগাছ ফরাহ খানের। কারও বাড়ি এত বড় হতে পারে, তা কল্পনাও করতে পারেননি বলিউড পরিচালক। ফরাহের বাড়ির রন্ধনশিল্পী দিলীপও তারকাদম্পতির বাড়ি দেখে ভাবলেন, এ যেন কোনও স্টুডিয়ো।
সম্প্রতি সোনাক্ষী ও জ়াহিরের বা়ড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন ফরাহ ও তাঁর রন্ধনশিল্পী দিলীপ। বাড়ির আয়তন ও অন্দরসজ্জা দেখে অবাক হয়ে যান তাঁরা। বাড়ির ভিতর প্রবেশ করার আগেই মুগ্ধ হন পরিচালক। সদর দরজা দেখে দিলীপ মন্তব্য করেন, “এই দরজাটি এত বড় কেন? মনে হচ্ছে, আমরা যেন কোনও স্টুডিয়োয় প্রবেশ করছি।” কথায় সম্মতি জানিয়ে ফরাহ বলেন, “আসলে দরজার আয়তন দেখে মনে হচ্ছে, এটি কোনও স্টুডিয়ো।”
বা়ড়ির মধ্যে প্রবেশ করতেই ফরাহ অভিনেত্রী সোনাক্ষীকে সরাসরি প্রশ্ন করেন, “এটা কি বাড়ি? না কি কোনও স্টুডিয়ো?” সোনাক্ষীও রসিকতা করে উত্তর দেন, “হ্যাঁ আমরা শুটিংয়ে ভাড়া দেওয়ার জন্য বুকিং নিচ্ছি।” ফরাহ ফের খোঁচা দিয়ে বলেন, “তোমরা তো নিজেদের মেহবুব স্টুডিয়ো বানিয়ে ফেলেছ। তোমরা কি এই বাড়ির এক দিক থেকে আর এক দিক পর্যন্ত দৌড়ে বেড়াও?”
বাড়িতে ঠিক কী কী রয়েছে? তারকাদম্পতির এই বাড়ি দুই ভাগে বিভক্ত। জ়াহিরের দিকের অংশে রয়েছে রঙিন ও উজ্জ্বল আসবাব। চোখে পড়বে নীল রঙের ও হলুদ রঙের সোফা এবং লাল রঙের ফ্রিজ। বাড়ির এই দিককে তাঁরা নাকি ‘নিউ ইয়র্ক’ বলে ডাকেন। অন্য দিকটি অর্থাৎ সোনাক্ষীর দিকের দেওয়াল, পর্দা ও আসবাবের রং তুলনামূলক ভাবে হালকা। সাদা ও ঘিয়ের মিশেলে সাজানো সেই দিক।
জ়াহিরের অংশের দেওয়ালে তারকাদম্পতির একটি ছবি রয়েছে, যেটি হাতে আঁকা। সেই ছবিতে জ়াহিরের সঙ্গে সোনু সুদের আদল খুঁজে পান ফরাহ। তাই তিনি বলেই বসেন, “একী! সোনাক্ষী এখানে সোনু সুদের সঙ্গে কেন দাঁড়িয়ে আছেন?” সঙ্গে সঙ্গে সোনাক্ষী স্পষ্ট করে দেন, ইনি মোটেই সোনু নন। ইনি জ়াহির। নেপালের এক বন্ধু নাকি এই ছবি এঁকে দিয়েছেন। জানান সোনাক্ষী।
সোনাক্ষীর বাড়িতে একটি ছোট্ট বার-ও রয়েছে, সেটি দেখেও অবাক হয়ে যান ফরাহ। তারকাদম্পতির বসার ঘরে রয়েছে ফ্লোটিং টিভি, অর্থাৎ টিভি-টি দেখে মনে হবে যেন সেটি হাওয়ায় ভেসে রয়েছে। জ়াহির জানান, এই টিভি পড়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। বাড়ির আর একটি দিকে সোনাক্ষী ও জ়াহির সাজিয়েছেন তাঁদের ভ্রমণের ছবি।