Hansal Mehta

সন্ত্রাসবাদীর জীবনীচিত্র ‘ওমের্টা’ তৈরি করতে বেগ পেতে হয়! কী ভাবে হংসলকে সাহায্য করেছিলেন বিবেক অগ্নিহোত্রী?

সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেতেও বেগ পেতে হয়েছিল তাঁকে। সেই সময়ে হংসলকে সাহায্য করেছিলেন বিবেক অগ্নিহোত্রী।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:১২
রাজকুমারের ‘ওমের্টা’ ছবি মুক্তির নেপথ্যে ছিলেন বিবেক অগ্নিহোত্রী।

রাজকুমারের ‘ওমের্টা’ ছবি মুক্তির নেপথ্যে ছিলেন বিবেক অগ্নিহোত্রী। ছবি: সংগৃহীত।

হংসল মেহতার ছবি ‘ওমের্টা’ নিয়ে একসময়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছিল। ছবিতে সন্ত্রাসবাদী আহমেদ ওমর সইদ শেখ-এর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন রাজকুমার রাও। এই ছবি তৈরি করা মোটেই সহজ কাজ ছিল না। এমনকি, সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেতেও বেগ পেতে হয়েছিল তাঁকে। সেই সময়ে হংসলকে সাহায্য করেছিলেন বিবেক অগ্নিহোত্রী।

Advertisement

সেন্সর বোর্ডের নির্দেশে ছবি থেকে বাদ দেওয়া একটি দৃশ্যের কথা জানান হংসল। দৃশ্যটি ছিল, স্বাধীনতা দিবসে কারাগারের ভিতরে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত বাজছে। পতাকা উত্তোলন হচ্ছে। সেই সময়ে কারাবাসে ওমরও। জাতীয় সঙ্গীত শুনে সে অভব্য ভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করছে। হংসল সেই স্মৃতি হাতড়ে বলেন, “সিবিএফসি জানিয়ে দেয়, জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে এমন কিছু দেখানোই যাবে না। তখন আমি বিরোধিতা করে বলেছিলাম, আসলে এই দৃশ্যটি রাখা উচিত, কারণ এই দৃশ্য দেখে মানুষের রাগ হবে। প্রতিবেশী দেশের এক সন্ত্রাসবাদী কী ভাবে দেশের বিরোধিতা করছে, তা দেখে রাগ হবে।” কিন্তু তা সত্ত্বেও এই দৃশ্যকে ছা়ড়পত্র দেওয়া হয়নি। আটকে যেতে বসেছিল গোটা ছবিটাই। তখন হস্তক্ষেপ করেছিলেন বিবেক।

হংসল বলেছেন, “ওরা ছবিটিকে ছাড়পত্র দিচ্ছিল না। পুনর্বিবেচনা করার জন্য ছবিটি ফের পাঠানো হয়েছিল। তখন বিবেক অগ্নিহোত্রী সাহায্য করেন, যিনি সব ছবির ক্ষেত্রেই চেষ্টা করেন, যেন কোনও দৃশ্য বাদ না পড়ে। সেই সময় উনি সিবিএফসি-র অংশ ছিলেন।”

উল্লেখ্য, আহমেদ ওমর সইদ শেখই ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর ড্যানিয়েল পার্লকে ২০০২ সালে হত্যা করেছিল। নাম ভূমিকায় অভিনয় করে প্রশংসা পেয়েছিলেন রাজকুমার রাও।

Advertisement
আরও পড়ুন