Dev on Bangladesh

এই যুদ্ধ যুদ্ধ আতঙ্ক কখনওই কাম্য নয়, অশান্ত বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বার্তা তৃণমূল সাংসদ দেবের

বাংলাদেশে এক সংখ্যালঘু নাগরিক দীপুচন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনায় রণক্ষেত্র রূপ নিয়েছে বাংলাদেশ। ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন অনেকেই। উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে কী বললেন দেব?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:০৭
কী বার্তা দিলেন অভিনেতা তথা তৃণমূল সাংসদ দেব?

কী বার্তা দিলেন অভিনেতা তথা তৃণমূল সাংসদ দেব? ছবি: সংগৃহীত।

উত্তপ্ত বাংলাদেশ। ওসমান হাদির মৃত্যুর পর থেকেই তোলপাড় ও পার বাংলা। রীতিমতো রণক্ষেত্রের রূপ নিয়েছে বাংলাদেশ। এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। প্রতিবাদ জানিয়েছেন এ পার বাংলার শিল্পীরাও। এই উত্তাল পরিস্থিতি নিয়ে কী বললেন অভিনেতা তথা তৃণমূল সাংসদ দেব? শান্তির বার্তা দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

দেব বলেন, “ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি মানুষ যেন শান্তিতে থাকে। তা সে হিন্দু হোক, মুসলমান হোক কিংবা খ্রিস্টধর্মের হোক না কেন। গোটা পৃথিবী জুড়ে যুদ্ধ চলছে। অর্ধেক টাকা দিয়ে অস্ত্র কিনতে হচ্ছে। কারণ দেশকে বাঁচাতে হবে।”

ও পার বাংলার এই পরিস্থিতি প্রভাব ফেলেছে শিল্প-সংস্কৃতি সর্বত্র। সে দেশের ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের নতুন করে উত্তাল বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হিংসা ছড়িয়েছে। ভাঙচুর চালানো হয়েছে একাধিক সংবাদপত্রের দফতরে। বিক্ষোভকারীদের আগ্রাসন থেকে রেহাই পায়নি দেশের ঐতিহ্যমণ্ডিত সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ছায়ানট’ ও উদীচী। এই খবর যত প্রকাশ্যে আসছে, ততই অশনি সংকেত দেখছেন দেব।

নায়ক যোগ করেন, “মাঝে মাঝে ভয় লাগে। খবর দেখলে মনে হচ্ছে, এখানেও যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে। মনে হচ্ছে, ভারত-বাংলাদেশ, ভারত-পাকিস্তান বা ভারত-চিনের যুদ্ধ লেগে যাবে। কিন্তু এটা কাম্য নয়। আমি চাই সবাই শান্তিতে থাকুন। সবাই ভাল থাকুন। আসলে তো দু’বেলার খাবার, আর মাথায় একটা ছাদ। বাড়িতে যাঁরা আছেন তাঁদের ভালো রাখা। তাঁর জন্য অন্য মানুষকে মারতে হয় না। এটা যদি এখন হয় আগামী দিনে আরও খারাপ সময় আসতে চলেছে বলে মনে হচ্ছে। তাই আরও ভয় হয়। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করব যেন আমরা সবাই ভালো থাকি। সিনেমা চলুক বা না চলুক আমরা যেন ভালো থাকি।”

দু’দনি আগে ও পার বাংলার উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিককেও প্রশ্ন করা হয়েছিল। এই ঘটনা যত শুনছেন ততই মেনে নিতে পারছেন না। তিনি বলেছিলেন, “সব ধরনের হিংসার ঊর্ধ্বে বিনোদনদুনিয়া। সেখানেও মৌলবাদ ছায়া ফেললে এর থেকে দুঃখের আর কিছুই হতে পারে না।” আক্ষেপের সুর শোনা গিয়েছিলেন অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী এবং রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী প্রমিতা মল্লিকের কথায়।

Advertisement
আরও পড়ুন