ছবি : সংগৃহীত।
ভারতীয় ‘ওয়ান পট মিল’ কী? এমন রান্না যেটি একপাত্রেই ঝঞ্ঝাটহীন পদ্ধতিতে তৈরি হয়ে যায় আবার শুধু সেটিই খেলে পেট ভরে যায়? পাশে অন্য কিছু না থাকলেও চলে। এ প্রশ্নের উত্তরে যে কেউ বলবেন খিচুড়ি।
শীতের দুপুর বা কনকনে ঠান্ডা পড়া রাতে গরম গরম খিচুড়ি খেতে নিঃসন্দেহে ভাল লাগে। তবে মাঝে মধ্যে চেনা স্বাদে বদল আনতে ক্ষতি কি! খিচুড়ি বাদে খাঁটি ভারতীয় আরও অনেক ‘ওয়ান পট মিল’ রয়েছে, যা একইসঙ্গে পুষ্টিকর এবং তৈরি করাও সহজ।
১. চিকেন অ্যান্ড ভেজিটেবল স্টু
কেন খাবেন: শীতের টাটকা সবজি যেমন গাজর, মটরশুঁটি, পেঁপে আর ফুলকপি দিয়ে এই স্টু হতে পারে সেরা পুষ্টিকর খাবার। এটি হালকা খাবার হলেও পেট ভরিয়ে রাখে। গোলমরিচের ঝাল আর আদার রস শীতের সর্দি-কাশি থেকে আরাম দেয়।
পদ্ধতি: প্রেসার কুকার বা হাঁড়িতে সামান্য মাখন দিয়ে চিকেন, আদা-রসুন কুচি এবং সবজিগুলো হালকা ভেজে নিন। পরিমাণমতো জল, লবণ ও গোলমরিচ দিয়ে ভালো করে সেদ্ধ করুন। নামানোর আগে সামান্য কর্নফ্লাওয়ার গুলিয়ে দিলে ঝোলটা ঘন ও ক্রিমি হবে।
২. সবজি ডালিয়া বা মাসালা ওটস
কেন খাবেন: খিচুড়ির বিকল্প হিসেবে ডালিয়া বা ওটস দারুণ। এটি ফাইবার সমৃদ্ধ এবং হজমেও সহজ। যারা স্বাস্থ্য সচেতন, তাঁদের জন্য এটি খুব ভাল। অল্প ঘি আর জিরে ফোড়ন দিয়ে ফুলকপি, গাজর, কড়াইশুঁটি আর বিনসের মতো শীতকালীন সব্জি দিয়ে তৈরি এই খাবারটিও আরামদায়ক।
সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি: চাল-ডালের বদলে ডালিয়া বা ওটস ব্যবহার করুন। চাইলে ডালিয়ার সঙ্গে ডাল মেশাতেও পারেন। সঙ্গে সবজির সামান্য ভাজা ভাজা করে মিশিয়ে নিন। এবং জল দিয়ে ফুটিয়ে নিন। নামানোর সময় উপরে ধনেপাতা কুচি আর সামান্য ঘি ছড়িয়ে দিন।
৩. থুকপা বা নাগা স্টাইল নুডলস স্যুপ
শীতের ‘ওয়ানপট মিল’ও হল আবার পাহাড়ি স্বাদ চেখে দেখার ইচ্ছেপূরণও হল। তার জন্য বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন থুকপা। এটি মূলত তিব্বতি খাবার। এক বাটি গরম স্যুপের মধ্যে নুডলস, মাংস আর প্রচুর সবজি থাকে এতে। এটি একাধারে স্যুপ ঠিকই তবে এটি মূল খাবারের কাজও করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, প্রোটিন এবং ফাইবার থাকে বলে এটি শীতে শরীর সুস্থ রাখার জন্য আদর্শ খাবার।
সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি: গরম জলে আদা, রসুন, লঙ্কা আর পছন্দের সবজি ও মুরগির মাংস দিয়ে সেদ্ধ হতে দিন। এবার আলাদা করে সেদ্ধ করা নুডলস তাতে দিয়ে দিন। স্বাদ বৃদ্ধি করতে সামান্য সোয়া সস ও লেবুর রস মিশিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।