common gym mistakes

জিমে ৭টি ভুল থেকে সাবধান! অন্যথায় ৩০-এর আগেই গুঁড়িয়ে যেতে পারে অস্থিসন্ধি

সমাজমাধ্যমের দৌলতে অল্পবয়সিদের কাছে ‘জিম সংস্কৃতি’ নতুন নয়। তবে ভুল ভঙ্গি বা ব্যায়ামে অজান্তেই অস্থিসন্ধির ক্ষতি হতে পারে। তাই সময়ে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:৩০
7 common gym mistakes that can damage your joints before 30

জিনে ভুল ব্যায়ামে অস্থিসন্ধিতে চোটের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। ছবি: সংগৃহীত।

নিয়মিত জিমে সময় কাটানো স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। তরুণ প্রজন্মের একটা বড় অংশ এখন স্বাস্থ্য সচেতন। কিন্তু সেখানে পদ্ধতিগত কোনও ত্রুটি থাকলে সমস্যা বাড়তে পারে। তার ফলে অল্প বয়সেই অস্থিসন্ধির ক্ষতি হচ্ছে।

Advertisement

জিমে সাধারণত ওজন কমানো বা সুঠাম দেহ তৈরির জন্য অনেকেই ভারী ওজন সহ শরীরচর্চা করেন। আর এখানেই ভুল হলে অস্থিসন্ধির ক্ষতি হয়। হাড়ের জোর কমা থেকে শুরু করে হাড় ভাঙার ঘটনাও লক্ষ্যণীয়। আবার অনেক সময়ে অস্থিসন্ধির উপরে ক্রমাগত চাপের ফলে তা গুঁড়িয়েও যেতে পারে। ৭টি ব্যায়ামের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্ক হওয়া প্রয়োজন—

১) আপরাইট রো: ব্যায়ামটি করার সময় দুই হাত শরীরের দিকে এগিয়ে এলেই কাঁধের উপর চাপ তৈরি হয়।

২) বেঞ্চ প্রেস: সাধারণত ভারী ওজন নিয়ে করা হয়। কিন্তু বেঞ্চে শুয়ে দুই হাত বাইরের দিকে রেখে ব্যায়ামটি করলে কাঁধের হাড়ে চাপ তৈরি হয়।

৩) বিহাইন্ড দ্য নেক প্রেস: সাধারণত কাঁধের পিছনের দিকে হাত নিয়ে যাওয়া কঠিন। সেখানে এই ব্যায়ামের মাধ্যমে ঘাড় এবং কাঁধের নীচের অংশের হাড়ের উপর অযথা চাপ তৈরি হয়।

৪) স্মিথ মেশিন স্কোয়াট: একই ভঙ্গিতে স্কোয়াট করার ফলে হাঁটুর উপরে অকারণে চাপ তৈরি হয় যা হাড়ের ক্ষতি করতে পারে। স্কোয়াট সব সময়ে খালি হাতে বা বারবেল ব্যবহার করে করা উচিত।

৫) দেহ এবং মন: অনেক সময়েই ক্লান্তি সত্ত্বেও অভ্যাসবশত জিমে পৌঁছে গিয়েছেন। কিন্তু সে দিন ভারী ওজন জোর করে তুলতে গিয়ে অজান্তে অস্থিসন্ধিতে চোট লাগতে পারে। তাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পেলে শরীরচর্চা করা উচিত নয়।

৬) লেগ প্রেস: ব্যায়ামটি করার সময়ে যদি হাঁটুর উপর হাত রেখে চাপ দিতে হয়, তা হলে বোঝা উচিত প্রয়োজনের অতিরিক্ত ওজন নেওয়া হয়েছে। ওজন না কমালে পায়ের হাড়ে চোট লাগতে পারে।

৭) শ্রাগ: কাঁধের পেশি তৈরিতে ব্যায়ামটি উপকারী। কিন্তু ভারী ডাম্বেল-সহ কাঁধ দুই কানের দিকে নিয়ে গেলেই পেশি তৈরি হয় না। বরং চোটের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। শ্রাগ খুবই ধীরে ধীরে করা উচিত।

Advertisement
আরও পড়ুন