Type 5 Diabetes

শিশু ও কমবয়সিদের বেশি হচ্ছে টাইপ ৫ ডায়াবিটিস, কোন কোন লক্ষণ দেখে টের পাওয়া যাবে?

টাইপ ১ বা টাইপ ২ নয়, টাইপ ৫ হল ডায়াবিটিসের এক নতুন ধরন যা ছোটদেরই বেশি হচ্ছে। স্থূলত্ব থাকলে এই ডায়াবিটিস হয় না। বরং ওজন কম হলেই হতে পারে। সাধারণ সুগারের চেয়ে এর লক্ষণগুলি কতটা আলাদা?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:৩৬
A new form of diabetes that targets young people, what are the symptoms of type 5 Diabetes

সাধারণ সুগার না টাইপ ৫ ডায়াবিটিস, বুঝবেন কী ভাবে? ছবি: ফ্রিপিক।

ডায়াবিটিস মানে টাইপ ১ বা টাইপ ২-এর নামই জানা। টাইপ ৩সি ডায়াবিটিস নিয়েও চর্চা হয়েছে আগে। ইদানীংকালে টাইপ ৫ ডায়াবিটিস নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। কমবয়সিরাই নাকি ডায়াবিটিসের এই ধরনে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবিটিস ফাউন্ডেশন’ (আইডিএফ)এর আগে রোগটির কথা জানিয়েছিল। সম্প্রতি নতুন করে চর্চায় এসেছে টাইপ ৫ ডায়াবিটিস। কারণ শিশু ও কমবয়সিদের মধ্যে রোগটি অনেক বেশি ধরা পড়ছে। সাধারণ সুগারের থেকে এর লক্ষণ আলাদা।

Advertisement

কোন কোন লক্ষণে বোঝা যাবে টাইপ ৫ ডায়াবিটিস হয়েছে?

টাইপ ৫ ডায়াবিটিস মূলত হয় অপুষ্টির কারণে। অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, সঠিক পুষ্টির অভাবে শরীরে ইনসুলিন তৈরিই হতে পারে না। তখন রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকে। কাজেই ওজন বেশি হলে এই ডায়াবিটিস হবে তা নয়। বরং ওজন কম থাকলেই এই ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। বছরের পর বছর ধরে অপুষ্টির শিকার হলে, তখন এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে।

এই ধরণের ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো খুব তীব্র হয় না, যার ফলে অনেক সময় ধরা পড়তে দেরি হয়।

১) যে কোনও কাজের পরেই ক্লান্ত লাগবে। অল্প পরিশ্রমের পরেই হাঁপিয়ে যাবেন।

২) স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি খিদে পাবে। সবসময়েই কিছু খেতে ইচ্ছে করবে। ঘন ঘন গলা শুকিয়ে যাবে।

৩) শরীরের কোথাও কেটে গেলে সেই ক্ষত শুকোতে অনেক দেরি হবে।

৪) একটি বা দু’টি চোখেরই দৃষ্টি ঝাপসা হতে থাকবে।

৫) ওজন হঠাৎ করেই কমতে শুরু করবে।

৬) মূত্রনালির সংক্রমণ বার বার ভোগাবে।

৭) টাইপ ৫ ডায়াবিটিসে ত্বকের সমস্যাও হতে পারে। র‌্যাশ-চুলকানির সমস্যা বাড়বে।

৮) টাইপ ৫ ডায়াবিটিস হলে কিছু ক্ষেত্রে রক্তাল্পতার লক্ষণও দেখা দিতে পারে।

এই ধরনের ডায়াবিটিসের চিকিৎসাপদ্ধতি এখনও জানা নেই। সঠিক সময়ে ধরা না পড়লে, ওজন কমে ও অপুষ্টির শিকার হয়ে এই রোগ প্রাণঘাতীও হতে পারে। তাই যত দ্রুত সম্ভব রোগটির শনাক্তকরণের পদ্ধতি ও প্রতিরোধ করার উপায় বার করার চেষ্টা চলছে।

Advertisement
আরও পড়ুন