Samantha Ruth Prabhu Diet

সামান্থার হেঁশেলে ঠিক দু’টি শাকের প্রবেশাধিকার নেই! বাজারের ফর্দ তদারকি করতে হয় কেন নায়িকাকে

সামান্থা রুথ প্রভু এখন পুরোপুরি প্রদাহনাশী খাওয়াদাওয়ায় ভরসা রাখেন। আগে জাঙ্ক ফুড খেতে ভালবাসতেন তিনি। কিন্তু মায়োসাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার পর আমূল বদল এনেছেন খাওয়াদাওয়ায়।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৫ ১৮:৫৭
সামান্থা রুথ প্রভুর খাদ্যাভ্যাসে আমূল বদল।

সামান্থা রুথ প্রভুর খাদ্যাভ্যাসে আমূল বদল। ছবি: সংগৃহীত।

নাগ চৈতন্যের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ, অটোইমিউন রোগ মায়োসাইটিসে আক্রান্ত হওয়া— সব মিলিয়ে গত কয়েক বছরে দক্ষিণী তারকা সামান্থা রুথ প্রভুর জীবন ওলটপালট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কঠিন পরিস্থিতিকে কী ভাবে নিজের নিয়ন্ত্রণে এনে ভালটুকু গ্রহণ করতে হয়, তা শিখিয়ে দিয়েছেন ‘ফ্যামিলি ম্যান ২’-এর অভিনেত্রী। অভিনয় থেকে বিরতি নিয়ে বে়ড়াতে যাওয়া, ধ্যানচর্চার শিবিরে সময় কাটানো এবং খাদ্যাভ্যাসে সম্পূর্ণ পরিবর্তন আনা, এ এক নতুন সামান্থা। সম্প্রতি নিজের খাওয়াদাওয়া ও ফিটনেস চর্চার খুটিনাটি জানালেন অভিনেত্রী।

Advertisement

বরাবরই খাদ্যরসিক ছিলেন সামান্থা। জাঙ্ক ফুড খেতে ভালবাসতেন তিনি। কিন্তু মায়োসাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার পর আমূল বদল এনেছেন খাওয়াদাওয়ায়। সামান্থার কথায়, ‘‘আমার এখনকার খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে আগের খাদ্যাভ্যাসের কোনও মিল নেই। তখন বয়স কম ছিল। মনে হত, কিছুই আমায় আটকাতে পারবে না। যা-ই খেতাম, ওজন বাড়াত না। তাই যা ইচ্ছে হত, খেতাম। অন্তত সে রকমই আমার মনে হত তখন। কিন্তু আমি বুঝিনি, সমস্যা কেবল ওজনে নয়, শরীরের মধ্যে প্রদাহজনিত সমস্যা জাঁকিয়ে বসে অন্যান্য অসুবিধাও সৃষ্টি করতে পারে।’’

আগের খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে সামান্থার এখনকার খাওয়াদাওয়ার কোনও মিল নেই।

আগের খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে সামান্থার এখনকার খাওয়াদাওয়ার কোনও মিল নেই। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

ফলে সামান্থা এখন পুরোপুরি প্রদাহনাশী খাওয়াদাওয়ায় ভরসা রাখেন। এই ধরনের ডায়েটের অর্থ বোঝাতে গিয়ে সামান্থা বললেন, ‘‘অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ডায়েটে আপনাকে বুঝতে হবে, কোন খাবার আপনার সহ্য হচ্ছে না। তার পর সে সব একেবারেই বাদ দিতে হবে। এখানে চিট ডে বলে কিছু হয় না। আমার যেমন কোনও চিট ডে নেই।’’ অর্থাৎ নিজের নতুন খাদ্যাভ্যাস থেকে এক মুহূর্তের জন্যেও বিচ্যূত হওয়ার উপায় নেই সামান্থার। রোজ কেবল একই খাবারই খান তিনি। সামান্থার ঘনিষ্ঠেরা নাকি তাঁর খাবার পাতের দিকে তাকিয়ে দয়ার অনুভূতিতে ভেসে যান। তবে তিনি কিন্তু কৃচ্ছ্রসাধন করেন না। কারণ, কঠোর ডায়েট বেশি দিন মেনে চলা যায় না বলে মত তাঁর। এখন তিনি যা খান, তা ভালবেসেই খান।

সামান্থার হেঁশেলে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যাবে ক্রুসিফেরাস জাতীয় সব্জি— ফুলকপি, ব্রকোলি, ব্রাসেলস্ স্প্রাউটস্‌, সেলেরি, আসাই বেরি ইত্যাদি। তা ছাড়া হলুদ, ঘি, কোল্ড প্রেসড তেলও তাঁর রোজের খাবারের সঙ্গী। তবে পালং শাক এবং কেল তাঁর সহ্য হয় না। মিষ্টি খাওয়ায় খুব আকর্ষণ নেই সামান্থার। খেতে হলে চিনি ছাড়া, গ্লুটেনহীন মিষ্টি খান।

নায়িকা প্রতি সপ্তাহে বাজারের ফর্দ নিয়ে বসেন। তাঁর বাড়িতে কেবল অর্গ্যানিক কাঁচামালই আনা হয়। বিলাসবহুল বন্দোবস্ত নেই সামান্থার। বাইরে গেলে সঙ্গে রন্ধনশিল্পী নিয়ে যেতে পারেন না। কেবল থাকেন তাঁর সহকারী। প্রথম ছবি থেকেই তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। আগে কফিও বানাতে পারতেন না, এখন সব খাবার দ্রুত রান্না করে দিতে পারেন সামান্থার সহকারী।

Advertisement
আরও পড়ুন