Chikpeas Vs Paneer

নিরামিষ খান? প্রোটিনের চাহিদা পূরণে কাবলি ছোলা না কি পনির, কোনটি বেশি ভাল হবে?

কাবলি ছোলা এবং পনির— দুই খাবারেই যথেষ্ট প্রোটিন থাকে। তবে উৎকৃষ্ট প্রোটিনের চাহিদা পূরণে দুইয়ের মধ্যে কোনটি ভাল?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:৫২
কোন খাবারে প্রোটিন বেশি, কারা বেছে নেবেন কোনটি?

কোন খাবারে প্রোটিন বেশি, কারা বেছে নেবেন কোনটি? ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।

দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদানটি হল প্রোটিন। পেশি সবল রাখা বা বিপাকহার ঠিক রাখা, কিংবা ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রোটিন পাতে রাখতেই হবে, বলেন পুষ্টিবিদ থেকে চিকিৎসকেরা।

Advertisement

ডিম, মুরগির মাংস, মাছ— এই সবই প্রোটিনের অত্যন্ত ভাল উৎস। কিন্তু যাঁরা প্রাণিজ খাবার খান না, নিরামিষ বেছে নেন, তাঁদের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হবে কী ভাবে? কাবলি ছোলা না পনির— কোনটি প্রোটিনের উৎস হিসাবে বেশি ভাল হবে।

কাবলি ছোলা

উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের অন্যতম উৎস হল কাবলি ছোলা। ১০০ গ্রাম কাবলি ছোলায় প্রোটিন মেলে ৮-১০ গ্রাম। পেশি সবল রাখতে, দৈনন্দিন কাজকর্মের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির চাহিদা মেটাতে প্রোটিন জরুরি। প্রোটিন জাতীয় খাবার পেট ভরিয়ে রাখে অনেক ক্ষণ, ফলে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে।

ফাইবার: কাবলি ছোলায় ডায়েটরি ফাইবার মেলে যথেষ্ট। ফাইবার পেট পরিষ্কার করতে, হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। অতীতে গবেষণায় দেখা গিয়েছে, উচ্চ ফাইবার যুক্ত ডায়েট অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমায়, পেট ভরিয়ে রাখে, মেদ গলাতেও সাহায্য করে।

হার্টের স্বাস্থ্য: কাবলি ছোলায় দ্রবণীয় ফাইবারের পাশাপাশি ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো খনিজ মেলে, যা শরীরে রক্তচাপ ঠিক রাখতে সাহায্য করে। সে কারণে নিয়মিত পরিমিত কাবলি ছোলা খেলে, হার্টের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।

লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স: কাবলি ছোলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, অর্থাৎ এই খাবার খেলে রক্তে শর্করার নির্গমণ ধীরে হয়। ফলে যাঁরা ওজন কমাতে চান বা যাঁদের ডায়াবিটিস রয়েছে, তাঁরাও এই খাবারটি নির্দ্বিধায় খেতে পারেন।

পনির

প্রাণিজ প্রোটিনের উৎস হল পনির। এতে রয়েছে স্বাস্থ্যের পক্ষে জরুরি অ্যামাইনো অ্যাসিড। ১০০ গ্রাম পনিরে ১৮ গ্রাম প্রোটিন মেলে। যে সব নিরামিষভোজীরা পেশির সুগঠন এবং সুঠাম চেহারার জন্য শরীরচর্চা করেন, তাঁদের জন্য পনির অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খাবার।

ক্যালশিয়াম: দুধ থেকে যেহেতু পনির তৈরি হয়, এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম মেলে। হাড় মজবুত রাখার জন্য ক্যালশিয়াম জরুরি। ফ্যাট ভেঙে ওজন বশে রাখতেও সাহায্য করে ক্যালশিয়াম।

কম কার্বোহাইড্রেট: পনিরে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা কম। ফলে ডায়াবিটিস থাকলেও এটি খাওয়া চলে। কারণ, পনির রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয় না। তা ছাড়া উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন থাকায় ওজন বশে রাখার জন্য এটি খাদ্যতালিকায় জোড়া যেতে পারে।

কাবলি ছোলা না পনির?

উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের দরকার হলে কাবলি ছোলা ভাল। অন্য দিকে, পনিরে যথেষ্ট প্রোটিন থাকলেও ভিগানরা তা খান না। তা ছাড়া, দুগ্ধজাতীয় খাবার যাঁদের সহ্য হয় না, তাঁদের পক্ষেও নিয়মিত পনির খাওয়া ঠিক নয়। কাবলি ছোলা এবং পনির দুই খাবারেই প্রোটিন যথেষ্ট। তবে যাঁরা সুঠাম দেহ-পেশি সুগঠনের জন্য কসরত করেন, তাঁদের খাদ্যতালিকায় পনির রাখা ভাল। আবার কাবলি ছোলা এবং পনির— দুই খাবারই একসঙ্গে খাওয়া যায়। শুধু ক্যালোরির মাত্রা বুঝে খেলেই হল।

Advertisement
আরও পড়ুন